Nagrakata | আতঙ্কের অবসান! কলাবাড়িতে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ

Nagrakata | আতঙ্কের অবসান! কলাবাড়িতে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ

ব্লগ/BLOG
Spread the love


নাগরাকাটা: আতঙ্কের অধ্যায়ের যবনিকাপাত হল নাগরাকাটার (Nagrakata) কলাবাড়ি চা বাগানে। ওই বাগানের ‘ত্রাস’ হয়ে ওঠা একটি চিতাবাঘ অবশেষে ছাগলের টোপে খাঁচাবন্দি হয় বুধবার ভোরে। কলাবাড়িতে এক নাগাড়ে চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটছিল। গত ৮ মাসে ৮ জন জখম হন। সর্বশেষ হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায়। সেদিন আধ ঘন্টার ব্যবধানে সাইকেল ও বাইক আরোহীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। শুধু সেদিনই জখম হন ৩ জন। চিতাবাঘের উপদ্রব শুরু হবার পরই সেখানে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। ৮ মাস ধরে অবশ্য কোন লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে এদিন একটি চিতা বাঘ ধরা পড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে বাগানটিতে। আশ্বস্ত শ্রমিকরাও। বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার হিমাদ্রি দেবনাথ বলেন, বাগানটির ওপর সতর্ক নজর রাখা হয়েছিল। নিয়মিত সেখানে শ্রমিকদের সাথে মানুষ- বুনোর সংঘাত প্রতিরোধে কি করনীয় তা নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হচ্ছিল। দুটি খাঁচা পাতা হয়। একটিতে চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। প্রয়োজনে আবার আরো একটি খাঁচা পাতা হবে। কলাবাড়ির ম্যানেজার বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, আতঙ্ক দূর করতে বন দপ্তর যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। আমরাও সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। ফের যাতে একটি খাঁচা পাতা হয় এমন অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাগানের ১৩ নম্বর সেকশন থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি চিতা বাঘ এদিন ধরা পড়ে। এলাকাটি পশ্চিম লাইন নামে শ্রমিক মহল্লা ঘেষা। পিন্টু বড়াইক নামে এক শ্রমিক বলেন, চিতা বাঘের ভয়ে বিকেল হলেই এখানে কেউ আর রাস্তায় বেরোতে চাইতেন না। সেই আতঙ্কময় পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হল। আমাদের অনুমান আরো চিতাবাঘ এখানে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন গত ৮ নভেম্বর এক রাতে ঝালো ওরাওঁ এবং লব ওরাওঁ নামে দুজন বাসিন্দা চিতা বাঘের আক্রমণে জখম হয়েছিলেন। ২৯ এপ্রিল এর ঘটনায় রহিমা খাতুন, রহমান আলি এবং আনজিত ওরাওঁ নামে ৩ জন।

কলাবাড়িতে বর্তমানে ৮ নম্বর সেকশনেও একটি খাঁচা রয়েছে। সেখানে কোন চিতাবাঘ ধরা পড়ে কিনা এখন সেদিকেও নজর বনদপ্তর থেকে শুরু করে বাগান কর্তৃপক্ষের। বিন্নাগুড়ি (Binnaguri) রেঞ্জের পরামর্শে টোপ হিসেবে ওই খাঁচাতেও নিয়মিত ছাগল রাখা হচ্ছে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *