উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমারের একাধিক এলাকা (Myanmar Earthquake)। এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এরই মধ্যে ভূমিকম্পের পাঁচদিন পর একটি ধসে পড়া হোটেলের ধ্বংসস্তূপ (Collapsed resort) থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হল এক তরুণকে (Man pulled alive)। যেখানে ক্রমেই নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল, সেখানে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই একপ্রকার আশার আলো দেখিয়েছে উদ্ধারকারীদের। মনে করা হচ্ছে এইভাবে আরও অনেককেই জীবিত উদ্ধার করা যেতে পারে ধ্বংসস্তূপ থেকে।
সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের জেরে নেপিডোতে (Naypyidaw) অবস্থিত ওই হোটেলটি ভেঙে পড়েছিল। সেই হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকেই স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ২৬ বছর বয়সি ওই তরুণকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে মায়ানমার ও তুরস্কের যৌথ উদ্ধারকারী দল। বুধবার মায়ানমারের প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ১২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে ছিলেন ওই তরুণ। অবশেষে কঠিন অভিযান চালিয়ে ধ্বংসস্তূপের মাঝেই একটি গর্তের থেকে জীবিত অবস্থায় ওই তরুণকে টেনে বের করেন উদ্ধারকারীরা।
গত শুক্রবার পরপর জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। প্রথম দুটি ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২, ৭। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। প্রথমটির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, ১২টা ২ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭। দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২,৭০০। জখম সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি। এখনও নিখোঁজ ৪৪১ জন। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভূমিকম্পের তীব্রতার প্রভাব পড়েছিল ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও (Thailand)। ব্যাংককে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ধসে পড়ে তাতে চাপা পড়েন বহু শ্রমিক। ভূমিকম্পের জেরে ব্যাংককে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আহত হয়েছেন ৩৪ জন।