অর্ণব চক্রবর্তী, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এসে ছাবঘাটির প্রশাসনিক সভায় সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কাকে নিয়ে নতুন মহকুমা তৈরির ঘোষণার পর থেকেই নতুন মহকুমা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে রাজ্য প্রশাসনে। রাজ্যের প্রশাসনিক সচিব মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্রকে প্রস্তাবিত নতুন মহকুমার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন তাতে নতুন মহকুমার নাম ফরাক্কা রাখা হয়েছে। নতুন মহকুমার জন্য অফিসের পরিকাঠামো, আবাসন এবং প্রস্তাবিত মানচিত্র পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আপাতত অস্থায়ীভাবে অফিস ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্প্রতি সামশেরগঞ্জের গণ্ডগোলের পর এলাকার মানুষের কথা শোনার জন্য জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তখন থেকেই এসডিপিও অফিসে বসছেন জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক।
মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘প্রস্তাবিত ফরাক্কা মহকুমা নিয়ে রাজ্য থেকে তথ্য ও প্রস্তাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা দ্রুত সেই প্রস্তাব পাঠাব। এলাকার মানুষের কথা শোনার জন্য সামশেরগঞ্জে এসডিপিও অফিসে বসছেন জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক।’
বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুর সদর, জঙ্গিপুর, লালবাগ, ডোমকল, কান্দি মহকুমা রয়েছে। নতুন ফরাক্কা মহকুমা হলে মহকুমা সংখ্যা জেলায় ৫ থেকে বেড়ে হবে ৬। আগেই মুর্শিদাবাদে দুটি পুলিশ জেলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা। অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলাকে প্রশাসনিকভাবে ভেঙে জঙ্গিপুর জেলা করা হবে কাজের সুবিধার জন্য। নতুন মহকুমা ঘোষণা করলেও জেলার কথা এখনও ঘোষণা করেনি মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার বাসিন্দারা চান মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গিপুরকে দ্রুত প্রশাসনিকভাবে নতুন জেলা তৈরি করুক। এতে করে ফরাক্কা বা সামশেরগঞ্জ এর মতো প্রত্যন্ত জায়গা থেকে বহরমপুর যেতে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে।
ফরাক্কা নতুন মহকুমা প্রসঙ্গে ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘোষণায় উপকৃত হবে ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি অঞ্চলের একটি বড় অংশের মানুষ। নতুন মহকুমা হওয়ার ফলে প্রশাসনিক অফিস বাড়বে, পুলিশ, কোর্ট ইত্যাদি তৈরি হবে। সর্বোপরি প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়বে এবং পুলিশ ও প্রশাসনেরও কাজ করতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি আমরা চাই দ্রুত মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগ করে দিক মুখ্যমন্ত্রী। এতে কোনও কাজে বহরমপুর গিয়ে পড়ে থাকতে হবে না সাধারণ মানুষকে। হয়রানি কমবে মানুষের।’