গাজোল: বাড়ির ছাদে দুর্মূল্য মিয়াজাকি আম (Miyazaki Mango) ফলিয়ে তাক লাগালেন গাজোলের (Gazole) আদর্শপল্লীর বাসিন্দা পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মী ঝন্টু সরকার। নিজের বিশাল ছাদ বাগানে অন্যান্য ফল, ফুলের গাছের সঙ্গে গত বছর লাগিয়েছিলেন মিয়াজাকি আমের চারা। আর এবছরই ফল ধরেছে সেই গাছে। গাছে টকটকে লাল রঙের আম বাগানের শোভা বাড়িয়েছে অনেকটাই।
বাগানে আপেল, কমলালেবু, মুসাম্বি, পেয়ারা, ড্রাগন ফ্রুট এইরকম প্রচুর ফলের গাছের পাশাপাশি রয়েছে মিয়াজাকি আমের গাছও। টিভিতে শুনে নার্সারি থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে মিয়াজাকি আমের চারা নিয়ে এসে লাগান ঝন্টুবাবু। তবে অন্যান্য গাছের থেকে একটু পরিচর্যা বেশি করতে হয়েছে। প্রথম বছরে প্রচুর মুকুল ধরলেও প্রচণ্ড গরমে অনেক গুটি ঝরে গেছে। অনেক কষ্টে প্রায় কুড়িটি আম বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন। প্রতিটি আমের সাইজ বেশ ভালো। রংও ভালোই ধরেছে। গাজোলে আরও বেশ কয়েকজন এই গাছ লাগিয়েছেন। তবে তাঁদের গাছে দু-একটির বেশি আম নেই বলে জানা গেছে। ৫-৬ হাজার টাকা কেজি দর এই আম বাজারে বিক্রি হয় বলে শুনেছেন ঝন্টু সরকার। এই বছর আরও বেশ কয়েকটি গাছ লাগানোর ইচ্ছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুগ্ম উদ্যানপালন অধিকর্তা সমরেন্দ্র খাঁড়া জানান, ‘২০১৯ সাল নাগাদ এই আমের নাম বেশি চাউর হয়। তবে মালদা জেলায় এই আমের চাষ অনেকটা কম। তুলনায় বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি এলাকায় ভালোই চাষ হচ্ছে। তবে এই আমের দাম লাখ টাকা কেজি নয়। গত বছর শিলিগুড়ির আম মেলায় মিয়াজাকি আম প্রথমে বিক্রি হচ্ছিল প্রতিটি দুই হাজার টাকা করে। পরে সেই দাম কমে হয় এক হাজার টাকা। সেই হিসেবে কেজি প্রতি দাম হতে পারে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। তবে এই আমের ভালো বাজার আছে। আমচাষিরা যাতে এই আমের চাষ বেশি করে করতে পারেন তার জন্য তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গাছের চারা। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে।’