উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মিরাটে (Meerut Homicide Case) মার্চেন্ট নেভি অফিসার হত্যাকাণ্ডে (Saurabh Rajput Homicide Case) একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। প্রেমিক সাহিল শুক্লার সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভ রাজপুতকে খুন করেছিল স্ত্রী মুসকান রাস্তোগী।
প্রথমে খাবারের সঙ্গে কড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধ এবং মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়। মাদকের প্রভাবে সৌরভ ঝিমিয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয় হৃৎপিণ্ড। এবার জানা গেল, স্বামীর প্রেসক্রিপশন জাল করে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ কিনেছিল মুসকান। নয়া তথ্য সামনে আসতেই সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ (Police)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দোকানের কর্মীদের।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি দোকান থেকে ওই ওষুধ কিনেছিল মুসকান। এধরনের ওষুধ সাধারণত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা হয় না। সে জন্য আগেই স্বামীর একটি প্রেসক্রিপশন সরিয়ে ফেলে মুসকান। এরপর নিজে হাতে ওষুধের নামটি লিখে ফেলে তাতে। মিরাটের ড্রাগ ইনস্পেক্টর পীযূষ শর্মার বক্তব্য, ওষুধের দোকানটিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত দু’বছরের সমস্ত বিক্রয়ের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দোকানের কর্মীদেরও। যদিও দোকান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মুসকান মোবাইলে তাঁদের প্রেসক্রিপশনের ছবি দেখিয়ে ওষুধটি কিনেছিলেন। ছবিতে দেখে প্রেসক্রিপশনটি বৈধ বলেই মনে হচ্ছিল। তবে সেটি যে মুসকানের নিজের হাতে লেখা, তা বুঝতে পারেননি কেউই। দোকানের মালিক জানান, এধরনের ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা হয় না। বৈধ প্রেসক্রিপশন দেখেই ওষুধ হস্তান্তর করা হয়েছিল। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
মেয়ের জন্মদিনের দিনই ওষুধ কিনে স্বামীকে মদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানোর পরিকল্পনা ছিল মুসকানের। কিন্তু সৌরভ মদ্যপান না করায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর ৪ মার্চ রাতে খাবারের সঙ্গে কড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধ এবং মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় সৌরভকে। সেই খাবার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ছুরি দিয়ে স্বামীর হৃদপিণ্ড ফালা ফালা করে মুসকান। প্রেমিক সাহিলকে ডেকে দু’জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামে দেহাংশগুলি ভরে সিমেন্ট ঢেলে দেওয়া হয়।