জেরুজালেম: গাজায় এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা নিত্যদিনের খাবার জোগাড়। সীমান্তের চেকপয়েন্টগুলিতে ভীষণ কড়াকড়ি। ইজরায়েলি পণবন্দিরা হামাসের হাত থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এক কণা খাবারও গাজা ভূখণ্ডে ঢুকতে দেবে না নেতানিয়াহুর সরকার। আইডিএফ ছ’সপ্তাহ ধরে সীমান্ত অবরোধ করে রেখেছে। ফলে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনওকিছুই ঢুকতে পারছে না গাজায়। ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে, গাজায় কোনও মানবিক সাহায্য যাবে না। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘ গাজা স্ট্রিপে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছে।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় এখন ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ রয়েছেন। দাতব্য সংস্থাগুলি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ১০ লক্ষের মতো মানুষের খাবার। জিনিসপত্র সরবরাহের অভাবে একাধিক খাদ্য বিতরণকেন্দ্রের কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজার বাজারে জিনিসপত্র ছোঁয়া যাবে না। আগুন ছোঁয়া দাম। সে সমস্ত কেনার ক্ষমতা নেই গাজাবাসীর। এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি সংস্থা এপ্রিল মাসের রিপোর্টে এই তথ্য দিয়েছে।
নরওয়ে শরণার্থী পরিষদের মুখপাত্র শাইনা লো জানিয়েছেন, গাজার বেশিরভাগ মানুষ এখন সারা দিনে একবার আহার করেন। খাবার যা পাওয়া যাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
একদিকে খিদের জ্বালা, অন্যদিকে ইজরায়েলি সেনার গুলিগোলা বর্ষণে মৃত্যুর হাতছানির মধ্যে গাজা প্রায় ধ্বংসের মুখে। স্থানীয় আধিকারিকদের তথ্য অনুযায়ী, একই পরিবারের ১০ জন সহ বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।