Md Shami | কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণ! মনে হয়েছিল আরও খেলতে পারব না : সামি

Md Shami | কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণ! মনে হয়েছিল আরও খেলতে পারব না : সামি

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


দুবাই: আরও একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট। মেগা ইভেন্টে আবারও স্বমেজাজে মহম্মদ সামি। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা সেখান থেকেই। প্রথম স্পেলে জোড়া শিকারে বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে টলিয়ে দেন মহম্মদ সামি। জাঁকিয়ে বসা জাকের আলিকে সরিয়ে ওডিআই ফরম্যাটে ২০০ উইকেট প্রাপ্তি। ম্যাচে পাঁচ শিকার।

অথচ, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচার, প্রায় দেড় বছর মাঠে বাইরে থাকার জেরে হতাশা ঘিরে ধরেছিল। সংশয় ছিল, ফের জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়ে মাঠে নামতে পারবেন কি না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযানে নামার আগে সেই কঠিন সময়ের স্মৃতি রোমন্থনে আবেগতাড়িত সামি।

আইসিসি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা থেকে রাতারাতি অপারেশন টেবিলে নিজেকে খুঁজে পাওয়া, দুর্দান্ত ফর্ম থেকে চোটের জন্য লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া কঠিন ছিল আমার জন্য। শুরুর দিকে নিজেরই সন্দেহ হত, আবার খেলতে পারব তো। এই ধরনের চোট কাটিয়ে ১৪ মাস পরে ফেরা মোটেই সহজ ছিল না।’

চিকিৎসকদের কাছে সামির প্রথম প্রশ্নই ছিল-কবে মাঠে ফিরবেন। আরও জানান, ‘চিকিৎসকরা বলেছিল, আগে তো হাঁটা। তারপর জগিং। তারপর দৌড় শুরুর ব্যাপার। সময় সাপেক্ষ। সত্যি কথা বলতে, ওই সময় মাঠে ফেরা মনে হচ্ছিল অনেক দূরের ব্যাপার। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। হাজারো প্রশ্ন ভিড় করত। ক্রাচ ছেড়ে মাঠে ফিরতে পারব, নাকি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই হাঁটতে হবে?’

প্রায় মাস দুেয়ক বিছানায় শুয়ে কাটানো। ৬০ দিন পর মাটিতে প্রথম পা ফেলা।  চিকিৎসকরা যখন বলে, এবার পা মাটিতে ফেলতে পারবে, কিছুটা ভয়ের মধ্যে ছিলেন সামি।  পড়ে যাওয়ার ভয়। সেখান থেকে আস্তে আস্তে ছোট্ট বাচ্চার মতো করে নতুনভাবে হাঁটতে শেখা। দেশের হয়ে আবার খেলার ইচ্ছেটাই সাহস জুগিয়েছে সামিকে। সামির কথায়, ‘দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল। কঠিন সময়ে আমাকে যা লড়াই করতে সাহস জুগিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *