মাথাভাঙ্গা: বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের মাঝেরটারি গ্রামে। সূত্রের খবর, নিজের বাড়িতে বেআইনিভাবে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থ মজুদ রেখে ব্যবসা করছিলেন বিমল অধিকারী নামে এক ব্যক্তি। তার গোডাউনেই এদিন দুপুরে আগুন লেগে যায়। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বাড়ি। পাশপাশি আগুনে পুড়ে যায় পাশের বাড়ির দোকান, শোবার ঘর সহ ঘরে মজুদ করে রাখা সমস্ত কিছু। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পাশের বাড়ির লোকজনদেরও।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। মাথাভাঙ্গা দমকল কেন্দ্রের ওসি নরেন রায় জানান, পেট্রোল, ডিজেল এবং কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থের আগুন নেভাতে ফোমের প্রয়োজন হয়। দমকলের ছোট গাড়িতে ফোম না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। মাথাভাঙ্গার পাশপাশি শীতলকুচি এবং নিশিগঞ্জ থেকেও দমকল আসে ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমল অধিকারীর বাড়িতে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ছিল ড্রামে ড্রামে পেট্রোল ডিজেল এবং কেরোসিন। প্রথমে তার বাড়িতেই আগুন লাগে এবং এরপর তার ভাই শ্যামল অধিকারীর বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে শ্যামল অধিকারীর দোকান, শোবার ঘর এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা, সোনার গহনা, কাগজপত্র সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার খবরে ঘটনাস্থলে হাজির হয় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশও। মাথাভাঙ্গা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির পেছনের মাঠে এবং ডোবায় লুকিয়ে রাখা এবং পেছনে অপর একটি গোডাউনে রাখা প্রচুর পেট্রোল ডিজেল এবং কেরোসিনের ড্রাম বাজেয়াপ্ত করে মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসেন। জনবহুল এলাকায় একটি বাড়িতে কিভাবে এত পরিমান ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিন অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল? পুলিশ প্রশাসনের কাছেই বা কোনও খবর কেন ছিল না? প্রশ্নগুলি কিন্তু উঠছে। বিমল রায়ের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করা হবে বলে জানিয়েছেন দমকলের মাথাভাঙ্গা এলাকার ওসি নরেন রায়।