মাথাভাঙ্গা: নাজিরউদ্দিন মিয়াঁ গত এক বছর ধরে এক অদ্ভুত সমস্যায় জর্জরিত। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভিড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। মহিলাদের এই প্রকল্পের টাকা একজন পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢোকায় বিপদে পড়ার আশঙ্কা করছেন মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংকোবা গ্রামের ওই বাসিন্দা।
এমনটা নয় যে নাজিরউদ্দিন চুপচাপ বসে আছেন। তিনি একাধিকবার ব্যাংকের পাসবই নিয়ে ছুটে গিয়েছেন বিডিও অফিসে। তবুও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দিনের পর দিন তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ নাজিরউদ্দিন মিয়াঁর।
নাজিরউদ্দিন জানান, স্ত্রী হালিমুন বিবি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদন করার সময় স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় বিডিও অফিস থেকে বলা হয়েছিল আপাতত স্বামীর অ্যাকাউন্টের ফোটোকপি দিলেই চলবে, পরে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হলে তা পরিবর্তন করা যাবে। সেইমতো আবেদন জমা হলেও, স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট খোলার পর আজ পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। ফলে মাসের পর মাস তাঁর স্ত্রী হালিমুন বিবির সরকারি টাকাই তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকছে কি না, তা-ও বুঝে উঠতে পারছেন না নাজিরউদ্দিন। ভবিষ্যতে একসঙ্গে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ঝামেলায় পড়তে হতে পারে, এই আতঙ্কে রয়েছেন নাজিরউদ্দিন।
এ নিয়ে বিজেপি নেতা ও মাথাভাঙ্গা ৪ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি শেখর রায় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘নাজিরউদ্দিন সৎ মানুষ। অথচ বারবার ঘুরেও সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না। সরকারি অর্থের এমন অপব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষ আরও সমস্যায় পড়বেন। সরকারি প্রকল্পে একজনের জন্য বরাদ্দ অর্থ অন্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা নয়। বিশেষত যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিংক রয়েছে। সমস্যা সমাধান না হলে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সমস্যায় পড়তে পারেন।’ মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।