উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর আছে মণিপুরেই। বৃহস্পতিবার জাতিদাঙ্গা দীর্ণ উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের একটি ত্রাণ শিবির থেকে উদ্ধার হল দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলায় হিংসার কারণে ঘরছাড়াদের জন্য তৈরি করা হয় ত্রাণ শিবিরটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট থেকে ত্রাণ শিবিরে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই নাবালিকাকে।
পরে জানা যায়, মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন এবং শরীরের চারপাশে রক্তের দাগ রয়েছে। তার বাবা-মা এবং জোমি মাদার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, যে পরিস্থিতিতে তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে, তাতে পরিষ্কার যে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ পকসো আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে। যাতে দোষীদের কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনে সাজার মেয়াদ বাড়ানোও যেতে পারে।
চূড়াচাঁদপুরে যেই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেয়েটি পড়ত সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লিন্ডা জামঙ্গাইচিং জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলের ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁরা শোকাহত। উল্লেখ্য ২০২৩ সালে মে মাস থেকে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে শুরু হওয়া জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। ইতিমধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে মণিপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে সরিয়ে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তারপরও শান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে না মণিপুর।