উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে কিছুদিনের বিরতি। তারপরই ফের হিংসার পথে মণিপুর (Manipur)। অমিত শায়ের (Amit Sah) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মণিপুরের সব রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিতেই সংঘর্ষ শুরু হয় কুকি জনজাতির লোকজনের সঙ্গে। কুকিরা জানায়, তাদের দাবি না মানা হলে তাঁরা অবরোধ তুলবে না। এনিয়ে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কুকিরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের কাংপোকপি জেলা। বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ১ জনের। আহত কমপক্ষে ৪০। তাঁদের মধ্যে মহিলা, শিশুও রয়েছেন। শনিবার রাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এরপরই রবিবার এলাকায় বনধের ডাক দেয় কুকিরা। বনধের জেরে এদিন সকাল থেকে থমথমে ছিল কাংপোকপি জেলা। শুধু ওই জেলা নয়, মণিপুরের বিভিন্ন এলাকার ছবিও প্রায় একই। বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সর্বত্র। রাস্তায় চলছে রুটমার্চ।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে মণিপুরে। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অজয়কুমার ভাল্লা। রাজ্যজুড়ে অস্ত্র সংবরণের পর গত ২ মার্চ সকলকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। সেই বৈঠকেই ঠিক হয় ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা সচল করা হবে। কিন্তু কুকি জনজাতির কিছু মানুষ পথ অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর তা থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠিচার্জও করা হয়। পালটা বাস ও গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাসে। ২৭ জন পুলিশকর্মীও আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অভিযোগ, অবরোধ তুলতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে। ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। কাংপোকপি জেলার কুকি জনগোষ্ঠীর অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ করে হটায় নিরাপত্তাবাহিনী। তাতে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা বাস, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাসে। সেই সংঘর্ষের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এক তরুণের মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, সংঘর্ষে তাদেরও ২৭ জন কর্মী আহত। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নবগঠিত কুকি-জো কাউন্সিল জানিয়েছে, কুকিদের রাজনৈতিক দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের ‘অবাধ চলাচল’ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করবেন তাঁরা।