আজাদ, মানিকচক: পাট্টা বিলির সরকারি মঞ্চে প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিদের সঙ্গে হাজির একঝাঁক তৃণমূল (TMC) নেতা। সোমবার এমনই ছবি দেখা গেল মানিকচক (Manikchak) ব্লক কমিউনিটি হলে পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে। তবে শুধু মঞ্চে হাজির হওয়াই নয়, এদিন পাট্টার নথিও তুলে দিতে দেখা যায় শাসকদলের তাবড় নেতাদের। তা দেখে অনেকেই বলছেন, সরকারি মঞ্চ না তৃণমূলের সভা মঞ্চ, বোঝা দায়। বিষয়টি নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বাম ও বিজেপি। যদিও মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘মঞ্চে বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। তৃণমূলের কোনও নেতা ছিলেন কি না, তা আমি লক্ষ করিনি।’
প্রশাসন সূত্রের খবর, মোট ২০০ জনকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। সোমবার মানিকচক ব্লক কমিউনিটি হলে প্রথম পর্বে ৭০ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মণ্ডল, মানিকচকের বিএলএলআরও প্রমুখ। তাঁদের পাশাপাশি মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল যুবর মানিকচক ব্লক সভাপতি সহিদুল হক, মানিকচক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সহ সভাপতি জামাল খান ও মুখলেসুর রহমান, ব্লক সাধারণ সম্পাদক আশিস সিনহা সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। পাট্টার নথিও তুলে দিতে দেখা গেল তাঁদের। আর এনিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে শোরগোল। কেন সরকারি মঞ্চে শাসকদলের নেতারা হাজির ছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এ বিষয়ে সিপিএমের মালদা জেলা সম্পাদক কৌশিক মিশ্র বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানকে তৃণমূল নেতারা দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শাসকদলের চাপে আমলারাও বাধ্য হয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’ একই অভিযোগ বিজেপির মালদা জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের। তাঁর কথায়, ‘শুধু মানিকচক নয়, গোটা রাজ্যে একই চিত্র। রাজনৈতিক রং দেখে পাট্টা বিলি করা হচ্ছে। বিজেপি সমর্থকদের বাদ দিয়ে শুধু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাট্টা দেওয়া হচ্ছে।’
তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী অবশ্য বলেছেন, ‘আপনার মুখেই শুনলাম। বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’