উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্বোধনের পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে দিঘার জগন্নাথধাম। প্রথমত পুরীর জগন্নাথধামের সঙ্গে নামের মিল থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা। ক্ষুব্ধ সেখানকার বিজেপি সরকারও। এরই সঙ্গে দিঘার মন্দিরের কাঠের জগন্নাথ মূর্তি নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে। মূর্তিটি জগন্নাথ মন্দির থেকে নিয়ে আসা নিম কাঠ দিয়ে তৈরি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতি যিনি দিঘা জগন্নাথধামের উদ্বোধন ও পুজোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তাকেও শো-কজ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরি হওয়ায় অনেকের তা ‘গায়ে লেগেছে’। ওই মন্দিরকে হিংসা করা হচ্ছে বলেও মনে করেন মমতা।
সোমবার মুর্শিদাবাদে মমতা বলেন, ‘ওরা বলছে, আমি নাকি নিমগাছ চুরি করেছি। আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে! এত খারাপ সময় আসেনি যে নিমগাছ চুরি করতে হবে। আমাদের মূর্তি তো মার্বেলের ছিল। জগন্নাথ মূর্তি কিনতেও পাওয়া যায়। ওটা দ্বৈতাপতি নিয়ে এসেছেন। তবে যে জায়গা থেকে বলা হচ্ছে, সে জায়গা থেকে নয়। আমি শুনেছি, তাঁকে আবার প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কেন দিঘায় পুজো করতে গিয়েছিলেন। এও বলা হয়েছে যাতে পুরী থেকে কোনও পুরোহিত দিঘায় পুজো করতে না যান।’ এরপরই মমতার প্রশ্ন, ‘এত গায়ে লাগছে কেন? আমরা তো সবাই পুরীতে যাই। আমরা তো এমন করি না। আর আমাদের জগন্নাথ ধাম নিয়ে এত হিংসা?’
এরপর ওডিশা সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ওড়িশায় আলুর টান পড়লে কিন্তু বাংলা তার জোগান দেয়। আপনাদের যখন সাইক্লোনে সব উড়ে যায়, রাস্তার পাইপ নষ্ট হয়ে যায়, আমরা এখান থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাই। বাংলা থেকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক পুরীতে যান। মমতার আরও অভিযোগ, ‘ওড়িশায় নাকি বাংলায় কথা বললেই মারধর করা হচ্ছে। তাঁর সরকার ওডিশা সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।