Mamata Banerjee | ‘উত্তরবঙ্গে আগে কী ছিল? হাতি আর গন্ডার, কোনও উন্নয়ন ছিল না’, বিরোধীদের তোপ মমতার  

Mamata Banerjee | ‘উত্তরবঙ্গে আগে কী ছিল? হাতি আর গন্ডার, কোনও উন্নয়ন ছিল না’, বিরোধীদের তোপ মমতার  

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছাব্বিশেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও এদিনের প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরে বিরোধীদের একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিরোধীদের উদ্দেশে বললেন, ‘ওরা কথা দিয়ে কথা রাখে না। আমি রাখি।’ বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও এদিন থেকে সুবিধা প্রাপকরা পেতে শুরু করলেন বলে জানালেন তিনি।

সোমবার তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্টানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে পূর্বতন বাম সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “উত্তরবঙ্গে আগে কী ছিল? মানুষের কান্না। একদিকে হাতি, একদিকে গন্ডার। আর কোনও উন্নয়ন ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাঁরা বাংলার বদনাম করে। বাংলার উন্নতি চোখে দেখতে পান না। শুধু বাংলাকে গালিগালাজ করে যান। বাংলার মানুষ এই অপবাদ মেনে নেবে না।”

এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীতে আমরা চালু করেছিলাম। আর সারাজীবন চলবে। কেউ কেউ এখন থেকে বলছেন, এত দেব। অত দেব। দাওনি কেন এতদিন? বাঘে খেলেও তো দেখতে আসো না। আর বড় বড় ভাষণ। নির্বাচনের আগে যা বলেছিল, তা দেয়নি। মুম্বইয়ে দেয়নি। রাজস্থানে দেয়নি। মধ্য প্রদেশে দেয়নি। এরা ভোটের আগে যা বলে, ভোটের পর তা ভুলে যায়। আমরা সেটা করি না। আমরা যা বলি, তা করি। যখন যেটা বলেছি, করে দেখিয়েছি। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখি না। এই চেষ্টার ত্রুটি কোনওদিন থাকবে না।”

এদিনের মঞ্চ থেকে তিনি ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “বাংলার বাড়িতে টাকা দিচ্ছো না। একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছো না। গ্রামীণ রাস্তায় টাকা দিচ্ছো না। তোমরা না দিতে পারো, মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়। আমরা করে দেখিয়েছি। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব। তাঁরা তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা এই ডিসেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ২০২৬ সালের মে মাসে পেয়ে যাবেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *