মালদা: ট্যাব কেলেঙ্কারির পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল নিয়ে যখন সরগরম গোটা রাজ্য, ঠিক সেই সময়েই এবার স্কুলগুলিতে পৌঁছে গেল সিআইডির বিশেষ নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় চেয়ে পাঠানো হয়েছে এসটি, এসসি, ওবিসি পড়ুয়াদের স্কলারশিপ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে জাল ডকুমেন্টস দিয়ে এসটি, এসসি, ওবিসি সার্টিফিকেট জালিয়াতির বড় চক্রের হদিস মিলেছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে সেই জালিয়াতির তদন্তের জন্যই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
এইপ্রসঙ্গে মালদা শহরের রামকিংকর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের স্কুলের জন্য ৩৩০ জন পড়ুয়ার নাম পাঠিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি ওই তালিকায় এমন ১০ জনের নাম রয়েছে যারা আমাদের স্কুলে পড়তই না। আমরা রেজিস্ট্রারও চেক করেছি। কিন্তু, সেখানেও ওই পড়ুয়াদের নাম নেই।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘সিআইডির এক কর্তা আমাদের স্কুলে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে নাকি উঠে এসেছে ৪৫ বছরের মহিলা ও পুরুষও এসটি, এসসি, ওবিসি নথি জোগাড় করে স্কলারশিপের টাকা নিয়মিত তুলছেন।’
মালদার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিআইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০১৭ থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুলগুলিতে কতজন এসটি, এসসি, ওবিসি পড়ুয়ারা স্কলারশিপের টাকা পেয়েছেন? শুধু তাই নয়, সিআইডির তরফে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে যে, এই সব পড়ুয়ারা এখন কোন ক্লাসে পড়ছে? বা পাশ আউট কিনা? যদি পাশ করে বেরিয়ে গিয়ে থাকে তবে কোন সালে পাশ করেছে। স্কলারশিপের টাকা কতবার তুলেছে পড়ুয়ারা। এছাড়াও নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে।’
এই নির্দেশিকার কথা স্বীকার করে নিয়ে মালদার ঐতিহ্যবাহী বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদারের মন্তব্য, ‘এই মুহূর্তে আমাদের স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই সিআইডিকে জানিয়েছি বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে আমাদের কিছুটা দেরি হবে।’