Malda | শুভেন্দুকে ‘রোহিঙ্গা’ বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, দিল্লি পুলিশের দাবি অস্বীকার মালদার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের

Malda | শুভেন্দুকে ‘রোহিঙ্গা’ বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, দিল্লি পুলিশের দাবি অস্বীকার মালদার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


চাঁচল: ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্তার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিনভর সরগরম থাকল মালদা (Malda) জেলার রাজনীতি। আন্দোলন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ‘রোহিঙ্গা’ বলে আক্রমণ তৃণমূলের। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ এবং বিজেপির দাবি নস্যাৎ শ্রমিকের পরিবার এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

মঙ্গলবার বিকেলে চাঁচল (Chanchal) সদর এলাকায় জেলা তৃণমূলের (TMC) তরফে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের নিয়ে মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে হয় সভা। অন্যদিকে, গতকাল রাতে ছাড়া পাওয়ার পর এদিন বাড়ির উদ্দেশে পরিবার সহ রওনা দিয়েছেন দিল্লিতে কর্মরত চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তার খান। শনিবার তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানকে অত্যাচারের অভিযোগ, একটি ভিডিও সহ এক্স-এ পোস্ট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দিল্লি পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করে এই অভিযোগ মিথ্যে। ওই মহিলা শ্রমিক তাঁদের কাছে স্বীকার করেছেন সমগ্র ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল নেতার মদতে চক্রান্ত ছিল। এই ঘটনাকে সামনে এনে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এদিন মুক্তারের পরিবারের লোকেরা দিল্লি পুলিশের দাবি মানতে চায়নি। দিল্লি পুলিশ বিজেপির ইশারায় কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

সেই প্রসঙ্গেই এদিন চাঁচলের মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘রোহিঙ্গা’ এবং ‘বাংলাদেশি’ বলে আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন ওঁনার মা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তাহলে শুভেন্দু বাংলাদেশি। ওকে আগে বাংলাদেশে পাঠানো হোক।’ এদিন সন্ধ্যায় পিরোজাবাদে শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মৌসমের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করছে। ওই পরিবারকে থানায় আটকে রেখে হিন্দিতে লেখা কাগজে জোর করে সই করানো হয়েছে। ওই পরিবারের সুবিচারের জন্য রাজ্য সরকার লড়াই করবে। শ্রমিকের বোন মুক্তারি খাতুন জানান, ‘কেউ দোষ করলে সেটা কি নিজে মানবে। আমার বৌদিকে মেরেছে। বাচ্চাটাকে মেরেছে। সেই ভিডিও আছে। আর এখন বলছে মিথ্যে। ওঁরা ওখানে পেটের টানে এতদিন ধরে কাজ করে। এর আগে তো এমন বলেনি।’

রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুরের অভিযোগ, ‘পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল ওঁদেরকে মারধর করে জোর করে জয় শ্রীরাম বলানোর চেষ্টা করে। তারপর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী সেটার প্রতিবাদ করে। এখন দিল্লি পুলিশ এই মিথ্যাচার করছে।’ চাঁচলে এদিনের মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, স্থানীয় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ সহ আরও অনেকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *