সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, মালদা: রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে চলছে জোর তরজা। তার মাঝেই এবার ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি থেকে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি (Abdur Rahim Bakshi)। ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় সমাবেশ। এই সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মালদা কলেজ অডিটোরিয়াম হলে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
এই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘ভোটার তালিকা সংশোধনীর নামে যদি জেলার একজন ভোটারেরও নাম বাদ যায়, তবে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের নাম বাদ দিতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশি। তার মা বাংলাদেশ থেকে এসেছে নিজেই বলেছেন। তবে ওঁদের নাম কেন থাকবে। বিজেপি ভাবছে কয়েক লক্ষ নাম বাদ দিলে ওরা ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু বাংলায় সেটা অত সহজ না। ছাত্ররাও যাঁরা ভোটার আছো যাঁদের পরিবারের লোকেরা ভোটার, তাঁদের এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এর আগেও একের পর এক কর্মসূচি থেকে বেলাগাম মন্তব্য করেছেন আব্দুর রহিম বক্সি। কখনও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, কখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি, কখনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রতি। এদিন বক্সি দাবি করেন, ‘বাংলা নিয়ে বিজেপি একটা গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশিদের নাম করে এখানকার লোকেদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে ভাবছে। সেটা তো হতে দেব না। ছাত্র যুবদেরকেও এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ এবিষয়ে পালটা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কটাক্ষ, ‘রহিম বক্সি অনুব্রত মণ্ডল কে অনুসরণ করছেন। বুঝতে পেরে গিয়েছেন, এই দলে যাঁর ভাষা যত খারাপ, তাঁর জায়গা তত বেশি।’
রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদের এটা শেষ সব থেকে বড় সমাবেশ। তাই এবার উৎসাহ সবার মধ্যে আরও বেশি। সঙ্গে কলেজ নির্বাচন নিয়েও সকলে নেত্রীর বার্তা শুনতে যাবে।’ এদিনের সভায় তৃণাঙ্কুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন সহ আরও অনেকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরাও হাজির হয়েছিলেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় ৩০০০ কর্মী নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নেতৃত্ব।