আজাদ ও অরিন্দম বাগ, মানিকচক ও মালদা: গত বুধবার সাত সকালে মানিকচকের ভূতনি দক্ষিণ চন্ডিপুরে সদ্য নির্মিত বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে খোদ মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র অভিযোগ করেন, সিপিএম ও বিজেপি মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র করে রাতের অন্ধকারে বাঁধ কেটে দিয়েছে। বিধায়কের এই অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে গত বুধবার রাতে সাবিত্রী মিত্রকে ফোন করে এই ভাঙ্গনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, নিজেকে ভূতনির সাধারণ জনগণ হিসেবে দাবি করা এক ব্যক্তি। আর এতেই প্রচন্ড চটে যান বিধায়ক। অভিযোগ, ফোন মারফত প্রশ্নকারী ব্যক্তিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই এই কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ)। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাল অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। বিধায়কের এমন আচরণ নিয়ে চরম কটাক্ষ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের দাবি, কথোপকথন এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা নিজেদের ভয়েজের রেকর্ডিং দিচ্ছে না। কিছু মানুষ আমাকে ফোন করে উত্যক্ত করেছে। বলেছে, আপনি ২০০ কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন আর ঠাণ্ডা ঘরে বসে আছেন। আমি তখন এক-দুটো লাইন বাজে কথা বলেছি। বলেছি, তুই কে রে? তুই জানিস আমি ২০০ কোটি টাকা কামিয়েছি? আমি কনট্র্যাক্টর? ইঞ্জিনিয়ার কাজ দিচ্ছে, অন্য কেউ কাজ করছে। আমি সিডিউলও জানি না। ওরা একের পর এক অনেক বাজে কথা বলে যাচ্ছিল। ওরা নিজেদের কথা রেকর্ড করেনি। আমি পুলিশ সুপারকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি।’
এই বিষয়ে সিপিআইএম জেলা নেতা দেবজ্যোতি সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটা হল ক্ষমতার দাম্ভিকতা। ভাইরাল অডিওতে বিধায়কের ভাষা শুনে আমি নিজে লজ্জিত।’ ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডলের দাবি, ‘কথোপকথনের মাধ্যমে বিধায়কের আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে।’