জসিমুদ্দিন আহম্মদ, মালদা: এবছর মালদার (Malda) ইউনাইটেড ইয়ংস ক্লাবের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ৭৫ বছর পূর্তি। তাই এবারের পুজোয় দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকছে অভিনব সব আলোর খেলা। মিগ বিমান ছাড়াও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রগুলি চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হবে। এই বছর ইউনাইটেড ইয়ংস ক্লাবের পুজোর থিম ‘আলোকের ঝরনাধারায় ভরিয়ে দাও’।
এখন শুধু পুজোর চারদিন নয়, মহালয়ার পর থেকেই এই এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়ে যায়। জেলার মাঝারি বাজেটের দুর্গাপুজোর আয়োজকদের মধ্যে ইউনাইটেড ইয়ংস ক্লাবের নাম সবার মনে আসে। প্রতি বছর তাদের পুজোর থিমে থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ মালদা কলেজ ট্রাফিক মোড় থেকে দিলীপ স্মৃতি সংঘ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ রাস্তাজুড়ে ইউনাইটেড ইয়ংস ক্লাবের দুর্গাপুজোর আয়োজন চলে।
পুজো কমিটির সম্পাদক অর্পণ সেন বলেন, ‘যেহেতু এবছর আমাদের পুজোর ৭৫ বছর পূর্তি তাই বছরের শুরু থেকে পুজোর থিম কী হবে সেবিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি প্ল্যাটিনাম জুবিলি উপলক্ষ্যে ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।’ তিনি জানান, অভিনব এই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হবে ১৫ অগাস্ট থেকে। ইতিমধ্যে চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। এবছরের পুজোর মূল আকর্ষণ আলোর খেলা। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউজুড়ে যে ধরনের আলোকসজ্জা, লেজার লাইট, তোরণ লাগানো হবে তা এই জেলায় আগে কখনও হয়নি বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘অপারেশন সিঁদুরে আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে সেই বিষয়টি আলোর মাধ্যমে ফুটে উঠবে আমাদের পুজো পরিসরে।’
ইউনাইটেড ইয়ংসের সম্পাদক সুব্রত গোস্বামী জানান, প্রতিমায় থাকবে ডাকের সাজ। মৃৎশিল্পী সত্যজিৎ রায় প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন। এবারের তাদের পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। ক্লাব সভাপতি শুভময় বসু বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন হবে। তবে দিন এখনও ঠিক হয়নি। দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপের সামনে একাধিক স্টল থাকবে।’