অরিন্দম বাগ, মালদা: মালদা (Malda) জেলার রেশমশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকারের রেশম এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিপণন দপ্তর। রেশমের গুণগতমান বাড়াতে ও চাষিদের সুবিধার জন্য কোকুন মার্কেটের আধুনিকীকরণ করা হবে। তৈরি করা হবে কোকুন ব্যাংক। এছাড়া প্রতিবছর ৫০০ একর জমিতে রেশম চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রাজ্য। এই সব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে জেলার রেশমশিল্পে অনেকটা অগ্রগতি হবে বলেই মনে করছেন রেশমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সোমবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলে এ নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদার জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া, অতিরিক্ত জেলা শাসক দেবাহুতি ইন্দ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিপণন দপ্তরের স্পেশাল সেক্রেটারি সহ চারটি বিভাগের অভিজ্ঞ প্রতিনিধিরা।
জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘মালদা জেলার রেশমশিল্পের উন্নতির জন্য আজ একটি বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে জেলার রেশমচাষি, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কলকাতা থেকে আসা অভিজ্ঞ প্রতিনিধিরাও ছিলেন। চাষিদের সুবিধায় বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে।’
মালদা সিল্ক ইয়ার্ন প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘মালদা জেলার রেশমশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আজ জেলা প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে রেশম ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্তারাও ছিলেন। ছিলেন রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষি ও ব্যবসায়ীরাও। রেশমের গুণগতমান আরও বাড়াতে, চাষিদের আর্থিক উপার্জন বৃদ্ধিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামীদিনে রেশমশিল্পে মালদার সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।’
মতিউর রহমান নামে এক রেশমচাষি বলেন, ‘বর্তমানে মালদায় ২৩ হাজার একর জমিতে তুঁত পাতার চাষ হয়। প্রতিবছর তা ২৫০ একর করে বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আমরা চাইছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৫০০ একর করা হোক। বর্তমানে যে পরিমাণ পলুর ডিম সরবরাহ হচ্ছে, তার ৮০ শতাংশ বেসরকারি উৎপাদকদের থেকে আসছে। সরকার যদি ডাবল হাইব্রিড পলুর ডিম সরবরাহ করে, তবে রেশম সুতোর উৎপাদন অনেকটা বাড়বে। বর্তমানে ১০০ পলুর ডিমে ২৫ থেকে ৪০ কেজি সুতো পাওয়া যায়। যদি ডাবল হাইব্রিড পলুর ডিম সরবরাহ করা হয় তবে, তাতে ৭০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত সুতো পাওয়া যেতে পারে।’
রিলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আনসারুল শেখ বলেন, ‘অনেককেই রিলিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ করার জন্য যে মূলধন প্রয়োজন, তা না থাকায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। এনিয়ে অনেকেই সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।’