অভিষেক ঘোষ, মালবাজার: মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় অনেক পরীক্ষার্থীকে আমরা দেখেছি, হেলমেট ছাড়াই মোটর সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে। সেই নাবালক বাইকচালকদের বাগে আনতে ঘুরে ঘুরে সচেতন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকেও। তারপর থেকে কমেছে মোটর সাইকেল চালিয়ে পরীক্ষা দিতে আসার প্রবণতা। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, সেদিনও মোটর সাইকেল করে পরীক্ষার্থীরা এসেছে, তবে অনেকেরই হেলমেট ছিল।
পরীক্ষার দিনগুলোতে পুলিশের তৎপরতা বেশি থাকে। তবে অন্যান্য দিন স্কুল ছুটির পর কিছু নাবালক ছেলেমেয়েকে দেখা যায়, মোটর সাইকেল চালিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ তাদের শাসন করে না। মালবাজার শহরের (Malbazar) প্রতিটি মোড়ে পুলিশ অথবা সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ওই ছেলেমেয়েরা বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া তাদের পরিবারও তাদের মোটর সাইকেল ও স্কুটি চালানোর অনুমতি দিচ্ছে। ধরপাকড় না হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এই নাবালক বাইকচালকদের দৌরাত্ম্য। এই অবস্থায় যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মালবাজার শহরের বাসিন্দা তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ১৮ বছর হওয়ার আগেই অনেক অভিভাবক সন্তানকে মোটর সাইকেল কিনে দিচ্ছেন। সেটা নিয়ে তারা স্কুলেও যাচ্ছে- সবটাই সচেতনতার অভাব। কিছু ছেলেমেয়ে পুলিশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ট্রাফিক আইন ভাঙছে।
শহরের দক্ষিণ কলোনির তরুণী তৃষা বসু বললেন, বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে পথ নিরাপত্তার কর্মসূচি করা হয়। সেখানে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও থাকে। তবুও অনেকের হুঁশ ফিরছে না। পুলিশকে আরও কড়া হতে হবে।
এ ব্যাপারে মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক উৎপল পােলর বক্তব্য, নাবালকদের মোটর সাইকেল চালাতে নিষেধ করা হলেও তারা সেটা উপেক্ষা করে। যদিও উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলেই বিভিন্ন স্কুলে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রাফিক সচেতনতার কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানালেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্নেহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি শুভম সাহা। এদিকে, মালবাজার থানার ট্রাফিক ওসি দেবজিৎ বসুর কথায়, ‘আমাদের নজরে নাবালক বাইকচালক পড়লে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব। পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারও চলবে।’