কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জে মাঠের মাঝখানে একটি পুকুর থেকে এগারো বছরের এক নাবালিকার পচাগলা অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকা। জানা গেছে, গত শুক্রবার স্কুল গিয়েছিল সে। এরপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার কুমারগঞ্জ থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তিন দিন পর আজ বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মাঠের মাঝখানে অবস্থিত একটি নির্জন পুকুর থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহের উপরের অংশে কাপড় না থাকায় এটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মেয়েটির বাবা কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন, ‘মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল, এরপর আর ফেরে নি। মেয়ের উপরের অংশে কাপড় নেই, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘গ্রাম হোক বা শহর, তৃণমূল সরকারের জঙ্গলরাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে মহিলাদের জন্য আতঙ্কের বধ্যভূমি। মহিলাদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন থেকে খুন,প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে ঘটলেও দুর্বৃত্তদের সংরক্ষণকারী দলদাস পুলিশ শুধুই নীরব দর্শক! কুমারগঞ্জে টানা ৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর আজ এক নাবালিকার অর্ধনগ্ন, পচাগলা দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল, কিন্তু নির্লজ্জ প্রশাসনের কোনও পদক্ষেপ ছিল না!’কুমারগঞ্জ থানার আইসি রামপ্রসাদ চাকলাদার জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেহটি পুকুর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।