কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির চেয়ারে এক তরুণ তৃণমূল কর্মীর বসে থাকা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সাবের আলী সরকারের চেয়ারে এক তরুণ তৃণমূল কর্মীর বসে থাকার ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। আর এরপরেই বিরোধীদের তরফ থেকে ধেয়ে আসছে চরম কটাক্ষ। ওই তরুণ তৃণমূল কর্মীর নাম সৈয়দ শাহ বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরি এই ঘটনাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধির চেয়ারে কীভাবে একজন সাধারণ দলীয় কর্মী বসে থাকতে পারেন? প্রশাসন যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব এবং বিডিও ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাব।’
সিপিএম নেতা মোফাজ্জল হোসেন কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এটাই হচ্ছে তৃণমূলের কাজ। প্রশাসন এবং দল এখন এক হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত, পৌরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি—সবখানেই দল আর প্রশাসনকে আলাদা করা যায় না।’
এদিকে ঘটনাপ্রসঙ্গে সহ-সভাপতি সাবের আলী সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, ঘটনার সময় তিনি ঘরে ছিলেন না এবং পরে জানতে পারেন যে একজন অচেনা ব্যক্তি তাঁর চেয়ারে বসে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি ওই ছেলেটিকে চিনিই না।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমারগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের কর্মীরা প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতি কোনও শ্রদ্ধা না রেখেই এমন কার্যকলাপ চালাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে এখনও এবিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।