সাজাহান আলি, কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ ব্লকের (Kumarganj) চাষিরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে খেজুরে রস ও গুড় বিক্রি করে আয়ের মুখ দেখছেন। খেজুর রস পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর খুচরো প্রতি গ্লাসের দাম ১০ টাকা। কুমারগঞ্জ ব্লকের আজইর, মুগলিশপুর, বটুন, মোহনা এই সমস্ত জায়গায় পুরুষ ও মহিলা চাষিরা খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি ও বিক্রি করেন। সরকার অনুমোদিত প্রায় ৪০০ জন সদস্যবিশিষ্ট সংগঠনের নাম ‘ইছামতি – কুমারগঞ্জ অ্যাগ্রো প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড’ ।
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার আগে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য কলসি বেঁধে দেন দীপেশ মালি, অপিকুল সরকার, সঞ্জয় মহন্ত প্রমুখরা। সংগৃহীত রস থেকে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গুড় তৈরি করেন অর্জিনা খাতুন, অভিযান বিবি সহ বাকিরা। প্রতি সকালে পাইকারি দরে খেজুরের রস কিনতে কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্নদাতাদের কাছে চলে আসেন। রস নিয়ে চলে যান কুমারগঞ্জের গোপালগঞ্জ, গোবিন্দপুর, মোমিনপুর, মোহনা, পতিরামে। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত রস সংগ্রহ, বিক্রি ও গুড় তৈরির কাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে ।
সংস্থার সিইও জাইরুল সরকার জানালেন, ‘সরকার স্বীকৃত এই সংগঠনে বেশ কয়েকজন মহিলা সহ মোট ৪০০ জন কৃষক সদস্য রয়েছেন। কৃষকের সার্বিক উন্নয়নে সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ স্টল চালাই। প্রতিদিন ভোরে রস সংগ্রহ করে পাইকারি দামে বিক্রি করা হয় । পাশাপাশি গুড় তৈরি করা হয় । প্রতি কেজি গুড়ের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।’
এভাবেই কুমারগঞ্জের কৃষকেরা শীতে খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে আয়ের মুখ দেখছেন।