তিরুবনন্তপুরম: একটা সময় ছিল যখন সিপিএমের নেতা-ক্যাডাররা সদর্পে বলে বেড়াতেন, ধর্ম হল আফিম। তাই যাবতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলতে ভালোবাসতেন তাঁরা। কিন্তু মোদি জমানায় সেই ছাঁচ ভেঙে বেরিয়ে এসেছে কেরলের (Kerala) প্রধান শাসকদল সিপিএম ও তাদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)। এখন মন্দিরের অনুষ্ঠানে বিশাল সংখ্যক দর্শকের সামনে রীতিমতো মঞ্চের এলইডি স্ক্রিনজুড়ে সিপিএম এবং ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা প্রদর্শন চলছে রমরমিয়ে। ভগবানের নামগান শিকেয় তুলে সিপিএমের গৌরবগাথা সুরে-ছন্দে ফুটিয়ে তুললেন একদল শিল্পী।
এমনই বেনজির ঘটনা ঘটেছে কোল্লামের কাডাক্কাল মন্দিরের অনুষ্ঠানে। শুধু গানের অনুষ্ঠানেই নয়, মন্দির চত্বরেও উড়ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা। ফাঁপরে পড়ে ট্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ডের সভাপতি পিএস প্রশান্ত এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের একবছর আগে লালঝান্ডাধারীর এমন ভোলবদলের নজির হাতের সামনে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী ইউডিএফ। বিজেপির জন্য রাজ্যে জায়গা তৈরির উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করা হয়েছে বলে তোপ দেগেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
কেরলের বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীশন বলেন, যিনি গান গাইছিলেন তাঁর কি ওই গানের জন্য আর কোনও জায়গা ছিল না। পুণ্যার্থীদের কেনই বা জিজ্ঞাসা করা হল তাঁরা সিপিএমের প্রয়াত নেতা পুষ্পনকে চেনেন কি না? সিপিএম হল নির্লজ্জদের দল। ওখানে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে বিজেপির জন্য জায়গা করে দেওয়াই কি ওঁদের লক্ষ্য। ক্ষমতার ঔদ্ধত্য এখন ওঁদের মাথায় উঠে গিয়েছে। পিএস প্রশান্ত বলেন, কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা বা প্রতীক মন্দিরের ভিতর নিষিদ্ধ। আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে। তাদের আওতায় থাকা সমস্ত মন্দিরে এই সার্কুলার পাঠানো আছে। মন্দির কমিটি ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে পেরুম্বাভুরে একটি মন্দিরের ভিতর আরএসএসের প্রশিক্ষণ চলছিল। তখনও কড়া অবস্থান নিয়েছিল দেবস্বম বোর্ড।