সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর! বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দশ মাসের দুধের শিশু কৃষভিকে মারধর পরিচারিকার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছিলেন শ্রীময়ী। গত ২৬ আগস্ট সেই মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন তারকাদম্পতি। এবার সব মায়েদের সতর্ক করলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ।
গতবছর নভেম্বর মাসে অন্নপূর্ণা পুজোর দিন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছিল কৃষভি। বয়স সবে দশ মাস। আর সেই শিশুর কান্নাতে অতিষ্ঠ হয়েই কিনা উপুড় করে শুইয়ে মারধর করে পরিচারিকা! সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই সেই ঘটনা জানতে পারেন শ্রীময়ী। এবার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলে সব মায়েদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী। তারকা বিধায়কের কথায়, শুধু আমার সন্তান নয়। যে সব মা-বাবারা ছোট্ট শিশুকে আয়ার কাছে রেখে বাইরে কাজে যান, তারা প্রত্যেকে সতর্ক হোন আরও।” পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীময়ীর সংযোজন, “শুধু বাড়ির লোকজন নয়, এক্ষেত্রে আয়া সেন্টারগুলিকেও সতর্ক হতে হবে। দরকারে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। তাছাড়া শুধু শিশুরা নয়, অনেকেই বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য বাড়িতে পরিচারিকা রাখেন কিংবা আয়া সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমাদের মতো এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদেরও।” মেয়ের সঙ্গে এহেন ঘটনায় এবার রীতিমতো গর্জে উঠলেন কাঞ্চনপত্নী।
শ্রীময়ীর সংযোজন, “নেতা-অভিনেতার বাড়ি বলে নয়, যে মানুষ কোনও ছোট বাচ্চাকে আঘাত করতে পারে, সে কিন্তু যে কোনও দিন বড় কোনও ঘটিয়ে ফেলতে পারে। কিংবা দাগি আসামি হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। অনেকেই কৃষভির ঘটনা শোনার পর থেকে এরকম সমস্যার কথা তুলে ধরছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আয়ার ভরসায় মা-বাবা কিংবা বাচ্চাকে রেখে যেতে পারছেন না। আয়া সেন্টারগুলির উদ্দেশ্যে বলব, কারও বাড়িতে আয়া পাঠানোর আগে আপনাদের আগে যাচাই করে নিতে হবে যে, সেই মানুষটি আদতে কেমন? এদের কারও আধার কার্ডের ঠিক নেই তো কারও বা আবার স্বামী বা অভিভাবকের নাম নেই আধারে। কারও চর্মরোগ রয়েছে তো কারও আবার মাথায় উকুন! অনেকে হাইজিন মেনটেন করেন না। কারি কারি টাকা নেওয়ার পরও যদি আপনারা এগুলো না দেখেন, তাহলে কিছু বলার নেই। আগে আমাদের নিজেদের সতর্ক হতে হবে, নইলে প্রশাসন কিছু করতে পারবে না।” অভিনেত্রীর যোগ করলেন, “কাঞ্চন কিছু বলুক বা না বলুক, আমি এর আগেও প্রতিবাদ করেছি। ভবিষ্যতেও করব। আমার কাছে কাছের মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন