কালিয়াগঞ্জ: প্রায় একবছর পর ফের ভারত-বাংলাদেশ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে। গত বছর ১২ মে রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। শুক্রবার ভারত থেকে একটি ইঞ্জিন বাংলাদেশের বিরোল রেলস্টেশন অবধি ট্রায়াল দেয়। রাতে ইঞ্জিনটি ফের ফিরে আসে ভারতের মাটিতে। এক রেলকর্তা জানান, ‘আগামী দু’দিনের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’ এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ফের প্রকাশ্যে আসতেই খুশি দুই দেশের বণিকমহলও।
বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার পক্ষে পালাবদলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। মূলত চাল, আলু, পেঁয়াজ, গম, চিনি, ভুট্টা, পাথর সহ অন্য পণ্যসামগ্রী রেলপথে রপ্তানি হত বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা মহম্মদ নাসিম জানান, ‘আশা করি, খুব শীঘ্রই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। রাধিকাপুরের পর বাংলাদেশে আমাদের পোর্ট করোনাকালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আশা করি, ভারত সরকার সেব্যাপারেও দ্রুততার সঙ্গে পোর্ট খোলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেবে।’
রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় রাধিকাপুরের স্টেশনমাস্টার সংগীত দত্তের বক্তব্য, ‘ট্রেনচালকের লার্নিংয়ের জন্য ট্রায়াল দেওয়া হল বাংলাদেশের বিরোল স্টেশন অবধি। আগামী দুইদিনের মধ্যে রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা চলছে।’
উত্তর দিনাজপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ির কথায়, ‘দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ বাঁচিয়ে রেখে বাজারজাত পণ্যবস্তুর আমদানি ও রপ্তানি চলত রেল পরিবহণকে ঘিরে। সুফল পেতেন দুই দেশের বণিকমহল। মাঝে, সুর, ছন্দ, তাল কেটে যাওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্যবসা। তবে, রেল পরিবহণের মধ্য দিয়ে ফের ব্যবসা চালু হওয়ার খবরে আমরা খুশি।’
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কার্তিকচন্দ্র পালের কথায়, ‘উত্তর দিনাজপুর সহ অন্য পার্শ্ববর্তী জেলা, বিহারের বণিকমহল লাভবান হবেন।’