কালিয়াচক: এই বছরও মাধ্যমিকের ফলাফলে কালিয়াচকের আবাসিক মিশনগুলির জয়জয়কার। মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কালিয়াচকের চারজন পড়ুয়া। চারজনই বিভিন্ন আবাসিক মিশনের ছাত্র। তবে সব থেকে তাক লাগিয়েছে টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। গত বছর টার্গেট পয়েন্ট স্কুল অ্যাফিলিয়েশন লাভ করেছে। এই বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ জন। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ৮০ শতাংশ পেয়ে পাশ করেছে। টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের পরীক্ষার্থী এম ইনজামাম উল হক বোর্ডের সেরা দশের তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। ইনজামামুল ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর ৯৮, ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৭, অংকে ১০০, ভূগোলে ১০০, ইতিহাসে ৯৫, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯।
পঞ্চম শ্রেণী থেকে টার্গেট পয়েন্ট স্কুলে পড়ে ইনজামাম। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। ফলে শিক্ষকরাও আশা রেখেছিলেন তার প্রতি। সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে সে। তার বাবা মইনুল হক একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মা আজমিরা খাতুন গৃহবধূ। ইনজামাম উল হকের কথায়, ‘আমার বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। অত্যন্ত সাহায্য করেছেন আমার শিক্ষকরা। আমি আশা করেছিলাম বোর্ডে সেরা দশের তালিকায় থাকবো। ভবিষ্যতে আমি মানুষের সেবা করতে চাই। তাই চিকিৎসক হতে চাই।’ তার মা আজমিরা খাতুনের প্রতিক্রিয়া, ‘এদিন সকাল থেকেই দূরদর্শনের পর্দায় চোখ রেখেছিলাম। ফলাফল ঘোষণা করবার সময় আমার ছেলের নাম শুনতে পেয়ে আমরা সকলেই খুশিতে ফেটে পড়ি। ছেলে আরো এগিয়ে যাক এই কামনা করি।’
টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজির হোসেন জানান, ‘আজকে আমাদের স্কুলে ডিআই এর একটি প্রতিনিধি দল এসে ইনজামাম উল হকের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পত্র তুলে দিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করেছিলাম আরও কয়েকজন ছাত্র বোর্ডে স্থান দখল করবে। কিন্তু কয়েক নম্বরের জন্য তারা স্থান দখল করতে পারেনি। তবে ইনজামাম উল হক কালিয়াচক তথা আমাদের স্কুলকে গর্বিত করেছে। আমরা সকলেই খুশি।’