উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল চলাকালীন পড়ুয়াদের সামনেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন একজন! যিনি এভাবে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি অন্য কেউ নন, ওই স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি। আবার তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যও। এমনই ঘটনার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের (Kakdwip) বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের। তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’-র ভিডিও (ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) সামনে এসেছে।
TMC panchayat member Tridib Barui beats instructor Milan Kanti Pal at Kakdwip’s Birendra Vidyaniketan. The identical legal is HEAD of faculty committee!
Academics getting thrashed by the very criminals who management their colleges! That is Mamata’s sick joke on Bengal!
Academics at the moment are… pic.twitter.com/OTtc44HvIR
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) September 17, 2025
ঘটনার সূত্রপাত স্কুলের ভ্রমণের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, পরিচালন সমিতিকে না জানিয়ে কেন পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, এই ইস্যুতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি পালের উপর চড়াও হন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ত্রিদিব বারুই। প্রধান শিক্ষককে পড়ুয়াদের সামনেই ঘাড়ধাক্কা দিতে দিতে নিয়ে যান তিনি।
এনিয়ে ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘মিথ্যে কথা লিখে একটা কাগজ এনেছিলেন। আমি কাগজে সই না করায় অফিসের মধ্যে চেয়ার টেনে সরিয়ে আমার উপর বলপ্রয়োগ করেন। ঘাড়ে আঘাত করেন। অফিসের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তার সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, হাতে চোট নিয়ে কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ তুলে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বলেন, ‘উনি ভ্রমণের নামে টাকা তুলছিলেন। এমসির অনুমতি নেননি। তাঁর কাছে রসিদ আনতে গেলে উনি কাগজটা মুড়ে ফেলে দেন। ওই কাগজ তুলে আমি যখন বলি, সই করে দিন, তখন উনি আমায় ঠেলে দেন। উনি আমায় মারতে গিয়েছিলেন। আমি ঠেকাচ্ছিলাম।’ এদিকে এই ঘটনায় সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। ঘটনার নিন্দা করে বিজেপি (BJP)-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, রাজ্যের শিক্ষাক্ষনে এই সন্ত্রাস তৃণমূল কংগ্রেসের আসল চেহারা উন্মোচন করছে। এবিষয়ে কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’