নাগরাকাটা: কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে এরাজ্যের ১০০ দিনের টাকা আটকেছে, আগামী দিনে তা সব জানাব। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দিয়ে ডুয়ার্সে পা রাখতেই বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন জন বারলা (John Barla)। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কলকাতায় তৃণমূল ভবনে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসদের উপস্থিতিতে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। শনিবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে এসে শিলিগুড়ি জংশনে নামেন তিনি। এরপর গাড়ির কনভয়ে লক্ষীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে পৌঁছানোর পথে ডুয়ার্সের নানা স্থানে বিপুল সংবর্ধনায় তাঁকে ভরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন নাগরাকাটার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জন বারলা বলেন, ‘কাজ করার স্বাধীনতা পেলে খুব ভালো লাগে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাইকে নিয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ শুরু করব।’ এরপরই তাঁর পুরোনো দল বিজেপিকে তুলোধোনা করে বারলা বলেন, “ওরা এখানকার মানুষের এত আশীর্বাদ পেলেও কিছুই করেনি। কেন্দ্রের যাবতীয় প্রকল্প শুধু কাগজ কলমেই থেকে গিয়েছে। বিজেপি মুখে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বললেও যেখানে ওদের সরকার নেই, সেখানকার কোনও উন্নয়নই করে না। এ রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ কিভাবে বন্ধ করে রেখেছে আগামী দিনে সব জানাব।”
এখানেই থামেননি বারলা। এদিন চা বাগানের নারী ও শিশু কল্যাণের উন্নয়নে বছর তিনেক আগে কেন্দ্রের ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘ওই টাকা কোথায় গেল কারও জানা নেই। অথচ টাকাটা খরচ করা হলে চা বাগানগুলি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারত।’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন আলিপুরদুয়ারে রেলের জমিতে তিনি যে হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, তা কিছু বিজেপি নেতাদের কারণেই ভেসতে যায় বলে ফের সরব হন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়েও এদিন বারলা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি কোনও টিকিটের প্রত্যাশায় নয়। বরং মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের শরিক হয়ে স্রেফ কাজ করার জন্য।’
এদিন নাগরাকাটায় জন বারলার অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দলের ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রী, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ ওরাওঁ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি গোবিন লামা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।