John Barla | তৃণমূলের কর্মসূচিতে বারলার থাকা নিয়ে জল্পনা

John Barla | তৃণমূলের কর্মসূচিতে বারলার থাকা নিয়ে জল্পনা

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: চা বাগানে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন তৎপরতা শুরু করতেই সক্রিয় হচ্ছেন জন বারলা (John Barla)। আগামী ১১ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জলপাইগুড়িতে প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনের আঞ্চলিক অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে। সব অঙ্ক মিললে সেই কর্মসূচিতে দেখা যেতে পারে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদকে। শনিবার দিল্লিতে বসেই কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ঐক্য ভাঙার অভিযোগ এনেছেন জন। অসমে চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিকদের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসী শ্রমিকদের আর্থসামাজিক অবস্থা অনেক ভালো বলেই বারলা মনে করছেন।

আগামী ৮ এপ্রিল সংকোশ ও এলেনবাড়ি থেকে যে দুটি পদযাত্রা শুরু হবে তাতে বারলারও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। দুটি পদযাত্রা ১০ এপ্রিল গয়েরকাটায় মিলিত হয়ে পিএফ অফিস ঘেরাও করবে ১১ এপ্রিল। জন অবশ্য এই ইস্যুতে এখনই কোনও মন্তব্য করেননি। আবার বিষয়টি অস্বীকারও করেননি। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, ওই কর্মসূচির পরই অফিশিয়ালি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন বারলা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিকবড়াইক অবশ্য বলেন, ‘বারলা পদযাত্রায় বা আমাদের দলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে দলগতভাবে তেমন কোনও তথ্য পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন নির্দেশ দেবেন তেমনটাই হবে।’

এদিন চা বাগানের জমির পাট্টা ইস্যুতে মমতার পাশেই দাঁড়িয়েছেন বারলা। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এখানকার চা শ্রমিকদের ৫ ডেসিমাল করে জমির পাট্টার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটা ঠিকই, শ্রমিকরা চাইছেন তাঁরা যেটুকু জমিতে বংশপরম্পরায় বসবাস করছেন সেই পুরো জমিরই পাট্টা দেওয়া হোক।  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারলে এটাও যে হয়ে যাবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’ এরপরই বিজেপিকে টার্গেট করে জনের কটাক্ষ, ‘পাশের রাজ্য অসমে তো বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। সেখানে তো উত্তরবঙ্গের চেয়েও চা শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। ওখানকার সরকার কি ওই শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়া নিয়ে একবারও ভেবেছে? সেটা তো হয়ইনি, উলটে অসমের আদিবাসীরা এখনও এসটি ক্যাটিগোরির মর্যাদা পাওয়ার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে কিন্তু আদিবাসীদের বেশিরভাগ জনজাতিই এসটি। তাহলে কোথায় গেল বিজেপির এক বিধান, এক নিশান, এক প্রধান-এর স্লোগান। উত্তরবঙ্গের চা বলয় থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘ কয়েক বছর উল্লেখযোগ্য ভোট না পাওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের কথা ভেবেছেন। একের পর এক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। বিজেপি একটা প্রকল্পের কথা বলুক যেটা ওরা শ্রমিক স্বার্থে করেছে।’

টি ট্যুরিজম ও সহায়ক বাণিজ্যিক কাজে রাজ্য সরকারের তরফে চা বাগানের অব্যবহৃত ও পতিত জমির ৩০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারার সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বারলার। তাঁর পালটা অভিযোগ, ‘বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য চা শ্রমিকদের ভুল বোঝানোর খেলায় মেতেছে। রাজ্য সরকার তো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েই দিয়েছে, ৩০ শতাংশের বিষয়টি একমাত্র তখনই প্রযোজ্য হবে যখন ১৫ শতাংশে সমস্ত নিয়মনীতি মেনে কাজ হবে। কেস টু কেস ধরে সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য একটি সরকারি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া চা আবাদি এলাকার এক ছটাক জমিতেও টি ট্যুরিজমের কোনও সংস্থান সরকারি নির্দেশিকায় নেই। শুধু তাই নয়, কোথাও যদি সমস্ত নিয়ম মেনে এটা গড়েও ওঠে সেক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ স্থানীয়দের কাজ দিতে হবে।’

বারলা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কোনও সরকারি পদ পেতে চলেছেন কি না তা নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে। ওই আদিবাসী নেতা অবশ্য এসব নিয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *