রায়গঞ্জ: বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার (Job Rip-off) অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক অধ্যাপক। সোমবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের গেটের বাইরে থেকে ওই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ধৃত ব্যাক্তির নাম জোসেফ সরেন।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী ও শাসকদলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছে থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু চাকরি না মেলায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার সহ বিভিন্ন জায়গার প্রতারিত যুবক যুবতীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ আদালতের গেটের বাইরে থেকে অধ্যাপক জোসেফ সরেনকে গ্রেপ্তার করেন ইটাহার থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই অধ্যাপক হুগলির রাধানগরের রাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয়ে ভুগোল বিভাগের সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের দানগ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালতে অভিযুক্ত অধ্যাপক একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আগে তিনি উত্তর দিনাজপুরের কোচরা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ, সেসময় থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রাথমিক ও হাই স্কুলে শিক্ষকতার পদ থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন তরুণ তরুণী পিছু প্রায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা করে হাতিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে, রায়গঞ্জ জেলা আদালতের আইনজীবি মনতোষ সরকার জানান, অধ্যাপক জোসেফ আগে কোচরা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ২০২০ সাল নাগাদ হুগলিতে অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ২০২১ সাল থেকে রায়গঞ্জ, ইটাহার,কালিয়াগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলেন। মন্ত্রী ও শাসকদলের নেতাদের নাম করে প্রায় ৫ কোটি টাকা তোলেন। দীর্ঘদিন পরেও চাকরি না হওয়ায় বেশ কিছু যুবক-যুবতী ইটাহার সহ বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অধ্যাপক এরপর লিখিত ভাবে জানান, তিনি টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু দেখা যায়,তিনি যে চেক দেন সেগুলো বাউন্স করে। রায়গঞ্জ জেলা আদালতে এনিয়ে মামলা হয়। আজ অভিযুক্ত রায়গঞ্জ জেলা আদালতে হাজিরা দিয়ে বাইরে বের হতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এই প্রসঙ্গে, ইটাহার থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘প্রতারণার অভিযোগে ধৃত অধ্যাপককে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।’