Jasprit Bumrah | ‘রনজি খেলার সুবিধা পেয়েছি’, বুমরাহর ফিটনেস নিয়ে অন্ধকারে জাদেজাও

Jasprit Bumrah | ‘রনজি খেলার সুবিধা পেয়েছি’, বুমরাহর ফিটনেস নিয়ে অন্ধকারে জাদেজাও

ব্লগ/BLOG
Spread the love


কটক: হাতে খুব বেশিদিন নেই। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করবে ভারত। তার আগে চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ বুধবার আহমেদাবাদে। অথচ দলের পেস ব্রিগেডের মূল অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাহর ফিটনেস নিয়ে অন্ধকারে ভারতীয় দল। এনসিএ-তে রিহ্যাবে থাকা বুমরাহকে নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কোনও সুখবর দিতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা।

কটকে সিরিজ জয় শেষে বুমরাহকে নিয়ে জাদেজা বলেছেন, ‘ওকে নিয়ে আমার কাছে কোনও খবর নেই। যদি জসসি ফিট হয়, দল এবং দেশের জন্য দুর্দান্ত খবর হবে।’ কটক ম্যাচের আগের দিন ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাকের গলাতেও প্রায় এক সুর শোনা গিয়েছিল। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ফিজিয়ো বলতে পারবেন বুমরাহর ব্যাপারে।

পিঠের ব্যথার কারণে বর্ডার-গাভাসকার টেস্ট সিরিজের পর মাঠের বাইরে বুমরাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হলেও এখনও ফিট নন। কবে মাঠে ফিরবেন, নির্ভর করবে বেঙ্গালুরুস্থিত ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সবুজ সংকেতের পর। আপাতত সেখানেই রিহ্যাবে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্ক্যান করানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, ১-২ দিনের মধ্যেই হালকা অনুশীলন শুরু করবেন (জিম সেশন, হালকা বোলিং)।

অবশ্য বাকি দলের সঙ্গে দুবাইগামী বিমানে ওঠা বুমরাহর পক্ষে সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় কাটছে না। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষার পক্ষে। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঘোষিত দলে পরিবর্তন করতে পারবে অংশগ্রহণকারী দলগুলি। সেক্ষেত্রে আগামীকাল বুমরাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, বিশেষ ছাড় মিলবে আইসিসি থেকে, সেদিকেই চোখ থাকছে।

বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষকর্তা আবার দাবি করেছেন, ‘১ শতাংশ সম্ভাবনা থাকলেও অপেক্ষা করবে বিসিসিআই। অতীতে হার্দিক পান্ডিয়া এমনকি শুভমান গিলকে নিয়েও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল। বুমরাহর ক্ষেত্রেও একই ভাবনা। চূড়ান্ত দল জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ রয়েছে। তবে এর পরেও মেডিকেল-গ্রাউন্ডে টুর্নামেন্টের টেকনিকাল কমিটির কাছে পদক্ষেপ করা যেতে পারে।’

বুমরাহর থাকা আর না-থাকার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। চলতি সিরিজে মহম্মদ সামি-হর্ষিত রানাকে খেলানো হলেও পেস ব্রিগেডে ধারাবাহিকতার অভাব। ফাঁক পূরণে দুবাইয়ের বাইশ গজে স্পিন ব্রিগেডের ওপর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। যে ভাবনায় জাদেজা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নিয়ে  এখনও পর্যন্ত সিরিজের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলারও।

সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন সম্প্রতি রনজি ট্রফি খেলাকে। দিল্লি-সৌরাষ্ট্র ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন। ঋষভ পন্থের দিল্লি জাদেজার (১২ উইকেট নেন) স্পিন-ঘূর্ণির সামনে এঁটে উঠতে পারেননি। সেই ফর্মটা জারি জাতীয় দলের হয়েও। জাদেজা বলেছেন, ‘সৌরাষ্ট্রের হয়ে রনজি ম্যাচ খেলাটা আমার পক্ষে গিয়েছে। ৩০ ওভার বল করেছিলাম ওই ম্যাচে, যা আমার ছন্দ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। একই লাইন-লেংথটাই ধরে রেখেছি ওডিআই টক্করেও। আর তাতেই সাফল্য।’

২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পর চলতি সিরিজে প্রথমবার ওডিআই ফরম্যাটে নেমেছেন। প্রত্যাবর্তনেই সাফল্য। স্বস্তি আড়াল করলেন না। জাদেজার কথায়, ‘প্রায় বছর দুয়েক পর (১৫ মাস) ওডিআই ম্যাচ খেলছি। দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। সাফল্য পেয়ে ভালো লাগছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *