Jalpaiguri | শিলিগুড়ির সমস্যা থেকে শিক্ষা, অন্য প্রযুক্তিতে তিস্তার জল তুলবে জলপাইগুড়ি

Jalpaiguri | শিলিগুড়ির সমস্যা থেকে শিক্ষা, অন্য প্রযুক্তিতে তিস্তার জল তুলবে জলপাইগুড়ি

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


সৌরভ দেব, জলপাইগুড়ি : গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার ঘোলা জল নিয়ে যথেষ্টই চাপের মুখে পড়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। শিলিগুড়ি পানীয় জল পরিষেবার সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে আম্রুত প্রকল্পে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে জলপাইগুড়ি পুরসভা।

আগামীতে তিস্তা থেকে জল তুলে আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে জল বাড়িতে পৌঁছোবে জলপাইগুড়ি শহরে। কিন্তু নদী থেকে জল তোলার পদ্ধতির পরিবর্তন করায় ঘোলা জলে কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি পুরসভার।

মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জলপাইগুড়ির কার্যনির্বাহী বাস্তুকার অসীম দে বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে আম্রুত প্রকল্পের যে পদ্ধতিতে তিস্তা নদী থেকে জল তোলা হবে তা তাকে বলে ইনফিলট্রেশন গ্যালারি। নদীগর্ভে ১২ মিটার নীচে ১১২ ফুট লম্বা পাইপ রয়েছে দুই পাশে। পাইপের গায়ে অনেক ছিদ্র রয়েছে। যার মাধ্যমে জল ঢুকবে এবং সেই জল পাম্পের সাহয্যে তোলা হবে। এক্ষেত্রে জলের গুণগত মান ভালো হবে।’

শিলিগুড়ি পুরনিগম ইনটেক ওয়েল পদ্ধতিতে তিস্তা-মহানন্দা লিংক ক্যানাল থেকে জল তোলে। এই ক্যানালের মুখে ইনটেক ওয়েল রয়েছে। গজলডোবা থেকে ওই ক্যানাল দিয়ে তিস্তার জল এসে ইনটেক ওয়েলে জমা হয়। পাহাড়ের অবিরাম বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই তিস্তার জল ঘোলা হয়ে গিয়েছে। যার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমে পানীয় জল পরিষেবায়।

জলপাইগুড়ি পুরসভায় আম্রুত জলপ্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ২১৫ কিলোমিটার পাইপলাইন পাতার কাজ প্রায় শেষ। পুরসভার জল দপ্তরের বাস্তুকার সুব্রত বাগচী জানিয়েছেন, তিস্তার ১২ মিটার গভীরতায় আপ স্ট্রিম এবং ডাউন স্ট্রিমে দুটি ১১২ ফুট লম্বা স্ট্রেইনার বসানো হয়েছে। এই স্ট্রেইনারের উপরিভাগে বিভিন্ন ধাপে বালি, পাথর, কাঠকয়লা ব্যবহার করে জল ফিল্টার করার জন্য দেওয়া রয়েছে। ঘোলা জল মূলত উপরিভাগেই থাকে। নদীর বুকের বালিস্তরের নীচে জলের স্তর সাধারণত পরিষ্কার থাকে। যে কারণে এই পদ্ধতিতে জল তুললে সেখানে ঘোলা জল আসার সম্ভাবনা নেই। ইনটেক পয়েন্ট থেকে জল তোলার পর সেই জল সুকান্তনগরে জল পরিশোধনকেন্দ্রে আসবে। সেখানে প্রথম ধাপে সেই জলে ক্লোরিন এবং ফিটকারি মেশানো হবে। তাতে যেটুকু নোংরা থাকবে তা পরিষ্কার হবে। এরপর আরও দুটি ধাপে জল পরিশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে তিস্তার ঘোলা জলে মেশিন খারাপ হওয়া এবং পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

জলপাইগুড়ি পুরসভার জল দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শিলিগুড়ি যে পদ্ধতিতে তিস্তার জলকে তুলে তা পরিশোধন করছে, আমরা সেইভাবে করছি না। আমাদের পদ্ধতিতে ঘোলা জলে মেশিন খারাপ হওয়া বা বর্ষার মরশুমে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তিস্তা থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে জল তোলার পর তা তিনটি পর্যায় ফিল্টার করে পরিশোধিত জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের প্রথম ধাপের ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *