Jalpaiguri | ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

Jalpaiguri | ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


কলকাতা : আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষমোহন রায়ের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের নির্দেশ, ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে সশরীর হাজিরা দিতে হবে। কেন তাঁর জেল বা জরিমানা করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে হবে চেয়ারম্যানকে। ২০১০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেল পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর না করায় আদালত এই নির্দেশ দেয়। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী এক্রামূল বারি বলেন, ‘আদালতের এই নির্দেশের ফলে ২০১০ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটতে চলেছে।’ লক্ষমোহন রায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

২০১০ সালে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অন্তর্গত প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের ভূমিহারা ক্যাটিগোরিতে নথিভুক্ত করা হয়। ওই বছর তাঁদের মৌখিক ইন্টারভিউয়ের জন্য অনুমোদন দেয় কাউন্সিল। পরবর্তীতে প্যানেলে নথিভুক্ত শেষ প্রার্থীর থেকে আবেদনকারীদের নম্বর কম থাকায় তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ওই সময় আবেদনকারীরা তাঁদের নম্বর ও প্যানেলে নথিভুক্ত শেষ প্রার্থীর নম্বর জানতে চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনকারীদের অভিযোগ, শূন্যপদে কর্মরত অবস্থায় মৃতদের সন্তানদের ক্যাটিগোরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভূমিহারা ক্যাটিগোরির জন্য ৫৮টি শূন্য পদ ছিল। কিন্তু ৫২ জনকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়।

শেষপর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার পরবর্তীতে ইসি ক্যাটিগোরির প্যানেলে ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ২০১৬ সালে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে ওই প্যানেল পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয় কমিশন। প্যানেল-বহির্ভূত সমস্ত প্রার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। কিন্তু নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন প্রণব রায়, ফারুক মহম্মদ, রামকুমার রায়। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় চেয়ারম্যানকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। ২০২৩ সালের ৯ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কমিশনারের নির্দেশ চার সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ তারপরও কার্যকর না করায় চেয়ারম্যানকে ভার্চুয়ালি বা সশরীরে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে হলফনামা জমা দেন চেয়ারম্যান। হলফনামায় কমিশনারের সঙ্গে চেয়ারম্যানের যোগাযোগের বিষয়টি জানানো হয়। তবে সেই হলফনামায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০২৩ সালের ৯ জুন হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কমিশনারের নির্দেশ মেনে প্যানেল পুনর্গঠন করে তা সম্মতির জন্য পাঠানো হয়নি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন বিচারপতি। তাঁকে আদালতের নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টেয় তাঁকে সশরীর হাজিরা দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *