জলপাইগুড়ি: স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত। সোমবার জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত আদালতের তৃতীয় কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় এই সাজা ঘোষণা করেছেন। মৃতার নাম মিতালি দে ভৌমিক। ১২ বছর আগে ভাল বেসেই পাশের পাড়ার মেয়ে মিতালিকে বিয়ে করেছিল ময়নাগুড়ির চারেরবাড়ি জাঙা পাড়ার যুবক সুজিত। নিজের বাড়িতেই মুদির দোকান চালাতেন সুজিত। তাদের এক ছেলেও হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত সুজিত। এক দুবার নিজের বাপের বাড়ি থেকে নগদ টাকাও মিতালী নিয়ে গিয়ে সুজিতকে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও অত্যাচার থামেনি। অন্যদিকে মিতালী লক্ষ করেন তার প্রতি সুজিতের আগের মতো সেই ভালোবাসা আর নেই। কারণ নদীয়ার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুজিত। স্বাীযে ফোনে ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সেটাও টের পেয়ে যান মিতালী। ২০২৩ সালের জুন মাসের ২০ তারিখ এনিয়েই স্ত্রী মিতালীর সঙ্গে বচসা হয় সুজিতের। তার জেরেই নিজের ৮ বছরের ছেলের সামনেই স্ত্রী কে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুজিত। এমনকি ওই কুড়ুল দিয়ে সেই সময় শ্বাশুড়ি কল্পনা এবং দিদিমা শ্বাশুড়ি হিরণবালাকেও আঘাত করেন সুজিত। তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে এলে চিকিৎসক মিতালীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মিতালীর দিদি চৈতালি সরকার ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুন এবং খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হন সুজিত। মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় তৎকালীন সময় ময়নাগুড়ি থানার সাবইন্সপেক্টর রাম কুমার রায়কে। সরকার পক্ষের আইনজীবি প্রসেনজিৎ দেব (পিন্টু) বলেন, ‘এই মামলায় অভিযুক্তের ছেলে সহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারক এদিন অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিয়ছেন।‘