Itahar | ‘রূপশ্রী’র সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষের অভিযোগ,পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধর!

Itahar | ‘রূপশ্রী’র সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষের অভিযোগ,পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধর!

শিক্ষা
Spread the love


রণবীর দেব অধিকারী,ইটাহার: রূপশ্রী প্রকল্পের তদন্তে গিয়ে উপভোক্তার পরিবারের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক ক্যাজুয়াল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মীর নাম নাজেরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পালটা অভিযোগ, তদন্তের সময় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। দুই পক্ষই ইটাহার থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনা ইটাহার ব্লকের সুরুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়িওল গ্রামে। থানায় দায়ের করা অভিযোগে বাড়িওলের বাসিন্দা মহসিনা বিবি জানিয়েছেন, ‘গত বছর আমার মেয়ের বিয়ের সময় রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী নাজেরুল ইসলাম আমাদের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে ৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। কথামতো ৫ হাজার টাকা দেওয়া সত্ত্বেও আমার মেয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পায়নি।’

মহসিনা বিবির আরও দাবি,‘ভাইঝি রুবি পারভিনের জন্যও রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে চলতি মাসের ২৩ তারিখে ফের ওই গ্রামে নাজেরুল ইসলাম তদন্তে গেলে আবারও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। সেইসময় মহসিনা ও তাঁর  পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করেন।’

অভিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী নাজেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কারও কাছে কোনও টাকা চাইনি। মহসিনা বিবির মেয়ের বিয়েই হয়নি। সরেজমিনে তদন্তে গিয়েও তাঁর মেয়ের বিয়ের কোনও প্রমাণ পাইনি। সেই রিপোর্ট দেওয়ার কারণেই সরকারি নিয়মে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন বাতিল হয়েছিল। কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামে রুবি পারভিন নামে অপর এক উপভোক্তার বিয়ের তদন্তে গেলে মহসিনার মেয়ে কেন প্রকল্পের টাকা পেল না সেই প্রশ্ন তুলে আমার উপরে ওরা চড়াও হয়। মহসিনা বিবি ও তাঁর আত্মীয় পরিজনরা মিলে আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে।’ পঞ্চায়েত প্রধান ঊষারানি দাস বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তাঁরা তুলছেন, তা ভিত্তিহীন।’ ইটাহারের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

The put up Itahar | ‘রূপশ্রী’র সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষের অভিযোগ,পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধর! appeared first on Uttarbanga Sambad.



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *