উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরান (Iran)। ইরানের ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক পরিকাঠামোয় হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে করা হয়েছে, কিন্তু তারা তাদের ‘জাতীয় শিল্প’ (পারমাণবিক কর্মসূচি) -র উন্নয়ন বন্ধ হতে দেবে না। ইরানের আণবিক সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শত্রুদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও, তাদের হাজার হাজার বিপ্লবী, বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে, তারা এই জাতীয় শিল্পের উন্নয়ন, যা পারমাণবিক শহিদদের রক্তের ফল, বন্ধ হতে দেবে না।’ ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপের সময়ই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ‘ইহুদিবাদী শাসনের অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতি তার দেশের প্রতিক্রিয়া আরও ভয়াবহ হবে।’
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত কোম শহরের কাছাকাছি পাহাড়ের গভীরে পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালালেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে হামলায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করেনি তেহরান। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বলেছে যে তার পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে পালটা জোরালো হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকার উদ্দেশে তেহরানের বার্তা, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ এখানেই শেষ নয়, ইরানের হুঁশিয়ারি, ‘পশ্চিম এশিয়ায় থাকা প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক ও সেনা এ বার থাকবে আমাদের নিশানায়।’
এদিন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের ফরদো, ইস্ফাহান ও নতনাজ পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। জিবিইউ-৫৭ বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর ট্রাম্প মার্কিন সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে এখনই এই যুদ্ধ শেষ করতে সম্মত হতে হবে, যে কোনও পরিস্থিতিতে ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়।’