উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেকেআরের পর এবার চেন্নাই সুপার কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাইকে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল আরসিবি। এদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করে ১৯৬/৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস। ৫০ রানে জয়ী হয় আরসিবি।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আর শুরু থেকেই ঝড় তুলে দেন ফিল সল্ট। তবে বিরাট কোহলিকে এদিন সেভাবে ব্যাট চালিয়ে খেলতে দেখা যায়নি। দলের রানকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সল্ট। সল্টকে স্টাম্প করে দেন ধোনি। ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন আরসিবির ওপেনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে ২২ গজে ঝড় তোলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। কিন্তু রুতুরাজ দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরান। এদিনের ম্যাচে বেশ কয়েকটি ক্যাচ ফেলে দেন চেন্নাইয়ের খলিল আহমেদ, দীপক হুডারা। এদিন বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। ধীরগতির ইনিংস সত্ত্বেও ৩০ বলে ৩১ রানে নুর আহমেদের বলে রাচীন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। রান পাননি লিয়াম লিভিংস্টোন। নুরের বলে বোল্ড হন ইংরেজ ব্যাটার। হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন পাতিদার। শেষবেলায় টিম ডেভিড ৮ বলে ২২ রান করায় শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আরসিবি’র স্কোর দাঁড়ায় ১৯৬/৭।
জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ১৯৭ রান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুটি উইকেট হারায় সিএসকে। জোড়া ধাক্কা দেন হ্যাজেলউড। প্রথমে রাহুল ত্রিপাঠী (৫)। তারপর রুতুরাজ (০)। ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে চেন্নাইয়ের। তবু আশাভরসা জাগিয়ে রেখেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। কিন্তু তিনিও বোল্ড হয়ে যান ৪১ রানে। দলের স্কোর তখন ৭৫। শেষপর্যন্ত ম্যাচটা নিছকই নিয়মরক্ষার দাঁড়ায়। সেই সময় ক্রিজে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এদিন দুই ছক্কা ও একটি চারে চেনা মেজাজে দেখা যায় ধোনিকে। ম্যাজিকের জৌলুস দেখা গেলেও ততক্ষণে খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিচন্দ্রণ অশ্বিন করেন ১১ রান। বল হাতে তিনি ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে পেলেন একটি উইকেট। ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস। ৫০ রানে জয়ী হয় আরসিবি।