উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘরের মাঠে ৪৪ রানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এদিন প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ২৮৭/৬। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের ইনিংস শেষ হয় ২৪২/৬ রানে। ১০৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন ঈশান কিশন।
এদিন টসে জিতে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। এদিন ব্যাট করতে নেমে একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে শুরু করেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ঈশান। প্রথম ওভারে ১০, দ্বিতীয় ওভারে ১৪, তৃতীয় ওভারে ২১। তিন ওভারেই উঠে গেল ৪৫ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ২৪ রান করে আউট হন অভিষেক। এবার হেডের সঙ্গে যোগ দেন ঈশান। ন’টি চার এবং তিনটি ছয় মেরে ৬৭ রানে আউট হন হেড। ঈশানের সঙ্গে যোগ দেওয়া নীতীশ রেড্ডি। নীতীশও মাঠে নেমে বিধ্বংসী ব্যাট শুরু করেন। ১৫ বলে ৩০ করে আউট হন নীতীশ। কিন্তু থেমে থাকেননি ঈশান। শেষ ১০৬ রান করে আউট হন ঈশান। ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস।রাজস্থানের হয়ে জফ্রা আর্চার চার ওভারে দিয়েছেন ৭৬ রান।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় রাজস্থানের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে যশস্বী জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দেন সিমরজিৎ সিংহ। অধিনায়ক রিয়ান পরাগ এসে প্রথম বলেই চার মারেন। দ্বিতীয় বলেই প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ।
কেকেআর ছেড়ে আসা নীতীশ রানাও (১১) নতুন দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ। রাজস্থানের সম্মান বাঁচাতে হল লড়াই চালিয়ে যান সঞ্জু স্যামসন এবং ধ্রুব জুরেল। দু’জনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ১১১ রান যোগ করলেন। বেশ চালিয়েই খেলছিলেন তাঁরা। সঞ্জু এবং জুরেল ক্রিজ়ে থাকার সময় তবু কিছুটা বেঁচে ছিল রাজস্থানের আশা। তিন বলের ব্যবধানে দু’জনে ফিরে যান সাজঘরে। হর্ষল পটেলের বলে হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দেন সঞ্জু (৬৬)। জুরেল (৭০) ফিরে যান অ্যাডাম জাম্পার বলে। এই দুই উইকেটের পতন হলেও লড়াই থেকে সরে আসেনি শিমরন হেটমায়ার এবং শুভম দুবে। প্রায় পাঁচ ওভার খেলে তাঁরা ৮০ রানের জুটি গড়লেন। ২৩ বলে ৪২ করে হেটমায়ার আউট হন। শুভম অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ৩৪ করে। ইনিংস শেষ হয় ২৪২/৬ রানে। ৪৪ রানে হেরে যায় রাজস্থান রয়্যালস।