দুবাই: শুরুতেই কি বিদায়ের বাজনা? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশ্রী হারে যে আশঙ্কায় পাকিস্তান শিবির। গ্রুপ ‘এ’-র বাকি দুই ম্যাচে জিততেই হবে পরিস্থিতি। এরমধ্যে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ দ্বৈরথ।
বাংলাদেশকে হারিয়ে রোহিত শর্মা ব্রিগেড ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটা জায়গায় ফাঁকফোকর থাকলেও খাতায়-কলমে, চলতি পারফরমেন্সের নিরিখে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে মেন ইন ব্লু। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পাকিস্তানের পয়লা নম্বর লক্ষ্য ভারতীয় প্রাচীর অতিক্রম করা।
করাচি ছেড়ে দুবাইয়ে পা রেখে সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার হুংকার সবুজ ব্রিগেডের। শুক্রবার সন্ধেবেলায় প্র্যাকটিসেও নেমে পড়েছে পাকিস্তান। তার আগে দলের অলরাউন্ডার খুশদিল শা-র সাফ কথা, পাকিস্তানকে খরচের খাতায় ফেললে ভুল হবে। নিজের দিনে যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখেন তাঁরা। কথা আর কাজের মধ্যে কতটা মিল থাকে, উত্তর মিলবে রবিবারই।
ভারতীয় দলের শক্তিকে সমীহ করেও খুশদিলের পালটা দাবি, ভারতীয় দল বেশ ভালো। অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু নিজেদের একশো শতাংশ দিতে পারলে ভারত-বধ অবশ্যই সম্ভব। সেই বিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবেন দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নিশ্চিত, আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে ভারত ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ভারত জিতেছে তিনবার। তবে শেষ সাক্ষাৎকারে (২০১৭) ফাইনালে জয়ী হয় পাকিস্তান। যে ম্যাচে ফখর জামানের শতরান ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল। রবিবাসরীয় দ্বৈরথে অবশ্য ফখর নেই। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন।
বদলি হিসেবে ইমাম-উল-হক ডাক পেয়েছেন। তবে ইমাম নাকি অন্য কেউ ফখরের জায়গায় বাবরের সঙ্গে ওপেন করবেন, এখনও নিশ্চিত নয়। খুশদিলের মতে, ব্যাট-বলের টক্করের সঙ্গে চাপ নেওয়ার ক্ষমতাও এক্স ফ্যাক্টর হতে চলেছে। বলেন, ‘ভারত-পাক ম্যাচের দিকে নজর থাকে গোটা বিশ্বের। চাপটা যে দল সামলাতে সক্ষম হবে তারাই সাফল্য পাবে।’
আত্মবিশ্বাসী খুশদিলের আরও সংযোজন, ‘আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি। কিন্তু এখনও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। ভারতকে হারাতে পারলে দৌড়ে টিকে থাকব। এত তাড়াতাড়ি আমাদের বাতিলের খাতায় ফেলে দেবেন না।’
নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দলগত ব্যর্থতার মাঝেও খুশদিলের ৪৯ বলে ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংস প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারত ম্যাচেও দল তাকিয়ে থাকবে। মজার কথা, কয়েক সপ্তাহ আগেও খুশদিল নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডাক পাবেন কি না। রাখঢাক না করে বলেও দেন, সুযোগ পেয়ে তিনিও অবাক। কেন, উত্তরটা নির্বাচকরাই দিতে পারবেন।