নয়াদিল্লি: কথায় আছে কুকুরের লেজ সোজা হয় না। জঙ্গি তৈরির কারখানা পাকিস্তানও ঠিক তাই। কোনওকিছুতে নিজেদের বদলাবে না। চড় খেয়েও না। সংঘর্ঘ বিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা লঙ্ঘন করে শনিবার রাতে ফের ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চল লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের আচরণ নিয়ে বীরেন্দ্র শেহবাগ পাকিস্তানের সঙ্গে কুকুরের লেজের তুলনা টেনেছেন।
সমাজমাধ্যমে শেহবাগ লিখেছেন, ‘কুকুরের লেজ বাঁকা, বাঁকাই থাকে চিরকাল।’ মুখে এক, পিছনে আরেক। বারবার ভারতের কাছে উচিত শিক্ষা পেয়েও নিজেদের শোধরায়নি। শোধরাবেই না। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বারবার। পাকিস্তানের মাটিতে (মুলতান, ২০০৪) ত্রিশতরান হাঁকানো বীরু সেই ইতিহাসের কথাই মনে করিয়ে দেন নিজস্ব ঢঙে।
অপারেশন সিঁদুর নিয়েও পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছিলেন শেহবাগ। জানান, ভারত কখনও কাউকে প্রথমে আঘাত করে না। কিন্তু আঘাত পেলে তার পালটা দিতে ছাড়বে না। এবার তা হাড়েহাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।
শিখর ধাওয়ানের কথায়, পাকিস্তান হল নোংরা, জঘন্য মানসিকতার দেশ। সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন বাঁহাতি ওপেনার লিখেছেন, ‘এই ঘটনায় জঘন্য দেশটি (পাকিস্তান) আবারও গোটা বিশ্বের সামনে নিজেদের নোংরামো দেখিয়ে দিল।’ অপারেশন সিঁদুর নিয়েও কয়েকদিন আগে পোস্ট করে দেশাত্মবোধের কথা তুলে ধরেছিলেন ধাওয়ান। জানিয়েছিলেন, গোটা দেশ সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে।
শনিবার বিকেলে সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করা হয়। যদিও ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যে গোলাগুলি বর্ষণ সীমান্তের ওপার থেকে। যা নিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পাকিস্তানের তিনটি অক্ষ কাজ করে। সেনাবাহিনী, আইএসআই আর প্রধানমন্ত্রী, যাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া নেই। একজন রাজি হয় তো অপরজন ঠিক তার উলটো অবস্থান নেয়। অপারেশন সিঁদুরে শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। আগামী দিনে আরও বড় শিক্ষা দিতে হবে।