চেন্নাই: প্রথম ইনিংসে ১২২ রান দিয়ে ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটহীন। সবচেয়ে চিন্তার জায়গা মহম্মদ সিরাজের রান বিলোনোর রোগ। অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরাহর তৈরি চাপ আলগা করে দিচ্ছেন। সিরিজকে নিয়ে স্বভাবতই অনাস্থা প্রকাশ করছেন অনেকে।
প্রাক্তন সতীর্থকে যে ভুল শুধরে নিতে বোলিং কোচ মরনি মরকেলের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বীন। ২ জুলাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। দল লিডস ছেড়ে বার্মিংহামে পৌঁছে গিয়েছে। অশ্বীনের বিশ্বাস, মাঝের কয়েকদিনে মরকেলের সাহায্যে ভুলত্রুটি শুধরে নেবে সিরাজ।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বীন বলেছেন, ‘বুমরাহ অসাধারণ। ছন্দ ফিরে পেলে প্রসিধও সফল হবে। জাদেজাও প্রত্যাশা পূরণে চেষ্টা করছে। তবে সিরাজের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, ‘তুমি কি রান কম দিতে পারো? উইকেট নিতে হবে না। কিন্তু প্রতি ওভারে টেস্টে ৪-৫ করে রান দেওয়া মানা যায় না। ফলে বুমরাহকে আক্রমণে ফেরানো ছাড়া রাস্তা থাকে না অধিনায়কের কাছে। বুমরাহর পক্ষেই বা কতটা সম্ভব। ক্লান্ত হয়ে পড়বে। বাকিরা দায়িত্ব না নিলে বিশ্রাম দিয়ে নতুন স্পেলে বুমরাহকে ফেরানোর আগেই ব্যাটাররা পার্টনারশিপ গড়ে ফেলবে।’
অশ্বীনের মতে, প্রসিধ তুলনায় অনভিজ্ঞ। প্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে। সিনিয়ার হিসেবে সিরাজের বাড়তি ভূমিকা থেকে যায়। মরনি মরকেল নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। দলের বোলিং কোচকে দেখে সিরাজ শিক্ষা নিক। বর্তমান বাজবলের যুগে রানের গতি বেড়েছে। কিন্তু যেভাবে সিরাজ রান বিলোচ্ছেন, তা দৃষ্টিকটূ। সিরাজ ভুলত্রুটি শুধরে নিলে ভারতীয় বোলিংয়ের চেহারা বদলে যাবে।
লোয়ার অর্ডার নিয়েও কিছুটা কটাক্ষের সুরে অশ্বীন বলেছেন, ‘টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করে এলিট ব্যাটারদের তালিকায় নাম তুলেছে ঋষভ। আমি যদি গম্ভীরের জায়গায় থাকতাম, তাহলে ওকে আলাদা করে ডেকে বলতাম, তুমি ভালো খেলছ। একটাই অনুরোধ, যখন ১৩০ রানে ব্যাট করবে, দুইশো করে ফেরার চেষ্টা কোরো। কারণ আমাদের লোয়ার অর্ডার খুব খারাপ। ওরা বেশি রান করতে পারবে না।’
সুনীল গাভাসকার আবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে পরিবর্তনের ডাক দিলেন। কিংবদন্তির পরামর্শ, কুলদীপকে খেলানো উচিত। শার্দুলের বদলে কুলদীপের সুযোগ পাওয়া উচিত। বার্মিংহামের পিচে রিস্ট স্পিনাররা সুবিধা পায়। পাশাপাশি বি সাই সুদর্শন ও করুণ নায়ারকে এখনই বসানোর পক্ষপাতী নন। গাভাসকারের দাবি, আরও সুযোগ প্রাপ্য দুইজনের। ব্যর্থতা যদি না কাটে, তখন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা ভাবা যেতে পারে।
মহম্মদ কাইফ আবার যশস্বী জয়সওয়ালের ক্যাচ মিসের রহস্য ভেদ করে ফেলেছেন। নিজের সময়ে অন্যতম সেরা ফিল্ডার কাইফের যুক্তি, ডিউক বলে ফিল্ডিংয়ের সময় বাড়তি চোটআঘাতের সম্ভাবনা থাকে। যার থেকে রেহাই পেতে হাতে স্ট্র্যাপ জড়াতে হচ্ছে। স্ট্র্যাপের কারণে আঙুলের মুভমেন্ট আটকে যাচ্ছে। ক্যাচ নেওয়ার সময় যা একটা বড় সমস্যা।