নয়াদিল্লি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযানে সবে একটা ম্যাচ অতিক্রান্ত। বাংলাদেশকে হারিয়ে শুভ সূচনা ভারতীয় দলের। ছন্দটা ধরে রেখে ট্রফি পুনরুদ্ধারই পাখির চোখ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।
এর মধ্যেই দলের দুই সিনিয়ারকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপের পরামর্শ অনিল কুম্বলের। জানান, সময় এসেছে, বিরাটদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার। ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখনই আগামীর দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
কুম্বলে বলেছেন, ‘চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ভিত্তিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনিয়ারদের সরিয়ে নতুনদের নিয়ে আগামীর দল সাজাতে হবে। কঠিন হলেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোচকেই।’
প্রাক্তনের মতে, বিরাট-রোহিতদের ওডিআই কেরিয়ার কতটা লম্বা হবে, তা ঠিক করে দেবে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফলাফল। তবে আগামীর ভাবনায় পালাবদল আবশ্যিক। ফলাফল যাইহোক, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, এখন থেকেই ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা প্রয়োজন। কারণ, বিশ্বকাপের আগে এমন একটা দল দরকার, যাঁরা একসঙ্গে অন্তত গোটা ২০-২৫টি ম্যাচ খেলেছে। নাহলে দলের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হবে না। কাকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, কার কী দায়িত্ব, বিষয়গুলি পরিষ্কার হবে না।
চলতি ফর্ম নিয়েও বিরাটের উদ্দেশ্যেও পরামর্শও ভাসিয়ে দিচ্ছেন। কুম্বলের মতে, বড় রানের তাগিদে বাড়তি চেষ্টা করতে গিয়েই নিজেকে চাপে ফেলছে। বিরাটের উচিত, চাপমুক্ত হয়ে ব্যাটিং করা। রোহিত শুরু থেকে চাপমুক্ত হয়ে খেলছে। জানে পিছনে অনেকে রয়েছে। বিরাটেরও উচিত রোহিতের পথেই হাঁটা। চিন্তা ঝেড়ে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করুক।
রিকি পন্টিং অপরদিকে মহম্মদ সামিকে নিয়ে মুগ্ধ। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন পর প্রত্যাবর্তন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই পাঁচ শিকার, দুর্দান্ত। দল অবশ্য ঠিক এটাই প্রত্যাশা করে। বরাবরই মনে হয়েছে, সামি এমন একজন বোলার, যার ওপর যে কোনও পরিস্থিতিতে আস্থা রাখা যায়। আমার ধারণা, প্রত্যাবর্তনের পর নতুন সামি আরও ধারালো। আরও একটা দারুণ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে সামির।’
সামির পাঁচ উইকেট মঞ্চ তৈরি করে দিলেও বাংলাদেশকে হারাতে উৎকণ্ঠায় কাটাতে হয় ভারতকেও। শুভমান গিলের পরিণত ব্যাটিং এবং লোকেশ রাহুলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষপর্যন্ত ফিনিশিং লাইন পার। যদিও বীরেন্দ্র শেহবাগের দাবি, কখনোই চাপে ছিল না ভারত।
টাইগারদের কার্যত কাগুজে বাঘ আখ্যা দিয়ে বীরুর কটাক্ষ, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে আবার আশঙ্কা! আমি যখন খেলেছি, কখনও চিন্তা করিনি। আজ স্টুডিওতে বসেও চাপ অনুভব করিনি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তান নয়। সত্যি কথা বলতে ১ শতাংশ চাপ দেখিনি সমর্থকদের মধ্যেও। সহজ জয়। গিল দুর্দান্ত। রোহিত-বিরাটরা আরও কিছুক্ষণ টিকে গেলে ৩৫ ওভারে ম্যাচ জিতত ভারত।’