উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের শোকজ নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট নয় তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। ফলে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কঠোর পদক্ষেপ। বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে তৃণমূলের একাংশ মনে করছে হুমায়ুনের মতো বেপরোয়া নেতাকে ‘সবক’ শেখাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উচিত।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি মনে করেছে রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা লঙ্ঘন করেছেন হুমায়ুন। গত বৃহস্পতিবার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুনকে শোকজের চিঠি পাঠান কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সেই চিঠিতে স্পষ্ট করেই জানিয়েছিল যে, তিনি যদি ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ না করেন এবং ভুল স্বীকার না করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দেন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার রাতে শোকজের জবাবে বিধায়ক লেখেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি, তাই ভুল স্বীকার করার প্রশ্নই নেই। সূত্রের খবর, তাঁর দেওয়া জবাবে দল সন্তুষ্ট নয়, যার ফলে কঠোর পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। এর আগেও দু’বার শোকজ করা হয়েছে হুমায়ূনকে। ২০১৫ সালে তৃণমূল থেকেই সাসপেন্ড হন তিনি। এবার আর বিধায়কের বেপরোয়া মনোভাবের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে হুমায়ুনের বিষয়টি নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছে কমিটি। এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁকে সতর্ক করে ছাড়া হবে, না কি দল তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ করবে, সেই দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।