বিশ্বজিৎ সরকার, হেমতাবাদ: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া ও জাল আধার, ভোটার কার্ড তৈরি করিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক দালালকে গ্রেপ্তার করল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আতাউর রহমান, বাড়ি রায়গঞ্জ থানার খোকসা সংলগ্ন ডোডরা গ্রামে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় মাসে হেমতাবাদের চৈনগর বিওপি, মালন বিওপি দিয়ে প্রায় ২০০ জন বাংলাদেশিকে প্রবেশ করিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চৈনগর গ্রাম থেকে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করলে তাদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক দালালের নাম পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একজন আতাউর রহমান। একাধিক বাংলাদেশি মালদার কালিয়াচকে আত্মগোপন করে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। সীমান্তে মাদক পাচার ও নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের অভিযোগও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। তবে এর সঙ্গে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে এক পুলিশকর্তার দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে শাহজাহান আলি নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। তাকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হেমতাবাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগরের বাসিন্দা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দাতা মানব পাচার, গোরু পাচার, মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক ভারতীয় দুষ্কৃতী মোকসেদ আলিকে গ্রেপ্তার করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে তাকে জেরা করে একাধিক নাম পায়। সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্ত দালাল আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, ‘বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী আশিস সরকার বলেন, ‘আধার কার্ড তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েতের এনওসি সার্টিফিকেট লাগে। ব্লকেরও কিছু নথি প্রয়োজন। এই সমস্ত নথি কারা দিল? কীভাবে এদের আধার কার্ড হল সবকিছু নিয়েই তদন্ত করলে অনেক প্রভাবশালীর নাম উঠে আসবে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলেই রাঘববোয়ালরা গ্রেপ্তার হবে।’