Haldibari | কাঁটাতারের ওপারে উৎসবের আনন্দে ছিটমহলের বাসিন্দারা

Haldibari | কাঁটাতারের ওপারে উৎসবের আনন্দে ছিটমহলের বাসিন্দারা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


অমিতকুমার রায়,হলদিবাড়ি: একটা সময়ে কাঁটাতারের ওপারে দুর্গাপুজোর আয়োজনকে ঘিরে একটা অনিশ্চয়তা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করত ছিটমহলের(Haldibari) বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে এখন দিন বদলেছে। আর পাঁচজন বাঙালির মতোই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। এবছরও হলদিবাড়ি ব্লকের উত্তর বড় হলদিবাড়ির তেঁতুলতলায় স্থায়ী শিবির চত্বরে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত তাঁরা।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আলোকসজ্জা ও মণ্ডপসজ্জার জাঁকজমক ছাড়াই আড়ম্বরহীনভাবে নিয়মনিষ্ঠা ও সাবেকি রীতিনীতি মেনে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে কচিকাঁচাদের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেইসঙ্গে খিচুড়ি ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে ভয়ভীতির পরিবেশ নেই পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ব্লকের(Haldibari) প্রচুর পুজো কমিটি সরকারি অনুদান পেয়েছে। কিন্তু তাঁদের পুজোর জন্য কোনও অনুদান দেওয়া হয়নি। অনুদানের টাকা এলে আরও ভালো পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হত।

এবছর পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। পুরোনো স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে পুজো উদ্যোক্তা পরেশ রায় জানিয়েছেন, একটা সময়ে মসজিদের আজানের সময়ে পুজো করা নিষিদ্ধ ছিল। লগ্ন অনুযায়ী সেসময় পুজো করলেও মাইক, কাঁসর, ঢাক, শঙ্খ এমনকি উলুধ্বনিও নিষিদ্ধ ছিল। সেই সময় ভারতীয় ছিটের ৫০টি ও বাংলাদেশের ১৫০টি হিন্দু পরিবার যৌথভাবে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার কালীর ধামে দুর্গাপুজোর আয়োজন করত। বাংলাদেশি পুলিশের পাহারায় পুজো হত। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ভয়ে রাতে প্যান্ডেলের দিকে পা বাড়াতে সাহস পেতেন না মহিলারা। অন্যদিকে নাটকটকা ও বেউলিয়া ছিটের হিন্দুরা পুজোর আয়োজন করতেন বাংলাদেশের টেপিগঞ্জ এলাকায়। কাজলদিঘি ও দইখাতার ছিটবাসীরা দেবী দুর্গার আরাধনা করতেন বাংলাদেশের বদেস্বরি ধাম এলাকায়। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। এখন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ছিটমহলের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই আনন্দে মেতে ওঠেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *