উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বেশকিছু ত্রাণসামগ্রী নিয়ে একটি নৌকায় করে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বিশ্বখ্যাত পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ(Greta Thunberg)। নৌকাটিতে মোট ১২ জন আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিস্ট রয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম ‘গেম অফ থ্রোনস’(Recreation of Thrones ) খ্যাত অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম। ইজরায়েলি সেনা দীর্ঘদিন ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এই অবরোধ তথা যুদ্ধ সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বার্তা দিতেই তাঁদের এই যাত্রা বলে জানিয়েছেন গ্রেটা ও তাঁর দল। তবে ইসরায়েলের তরফে জানান হয়েছে যে, প্রয়োজনে তাঁরা গ্রেটা-র এই যাত্রাকে বাধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF)মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত রয়েছি, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তবে ঠিক কী পদক্ষেপ নিতে পারেন তাঁরা, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
বছর ২২-এর সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা রবিবার তাঁর এই যাত্রা শুরু করেন ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি নৌকায়। এই নৌকাটি ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন((FFC) দ্বারা পরিচালিত বলেই জানা গিয়েছে। নৌকাটিতে মুলত যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজার সাধারণ নাগরিকদের জন্য জরুরী ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে, দুধ, প্রোটিন বার, শিশু খাদ্য, ডাইপার, চাল, আটা, জল পরিশোধন যন্ত্র তথা চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রমুখ। প্রসঙ্গত, বিগত ৯০ দিন ধরে গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনা। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সাল থেকে এই অঞ্চলের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়েছে।
তাঁদের এই যাত্রাপথে গ্রেটাদের নৌকাটি যখন দক্ষিণ ইতালির কাতানিয়া অঞ্চল দিয়ে যাত্রা করছিল সেই সময় তাঁদের ওপর ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অনুমান, এই ড্রোনগুলি গ্রিক কোস্ট গার্ডদের দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছিল। এই যাত্রায় তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে তাঁরা আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন।
তাঁদের এই যাত্রার বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন গ্রেটা। এই যাত্রা শুরুর আগে গ্রেটা বলেছিলেন, ‘আমরা এই যাত্রা করছি তাঁর কারণ, যতই বাঁধা আসুক না কেন আমাদের হাল ছাড়লে চলবে না। যেদিন আমরা হাল ছেড়ে দেব সেদিন মানবতা হেরে যাবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও একই ধরনের অভিযানের জন্য এফএফসি(FFC)পরিচালিত একটি নৌকা গ্রেটাকে নিতে মাল্টা পৌঁছানোর ঠিক আগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই নৌকাটিতে ইজরায়েলি ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়।