শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: ১৬ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের দরজা। তার আগে জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের (Vacationers) ঢল নেমেছে গরুমারায়। এতে উচ্ছ্বসিত ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ভরা বর্ষায় ভিড় আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রতিবছর ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে জলদাপাড়া, গরুমারা (Gorumara) সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এই সময়টা বন্যপ্রাণীদের প্রজননের। মূলত তাদের বিরক্ত না করতেই এমন সিদ্ধান্ত। এছাড়াও বৃষ্টিতে জঙ্গলপথে জলকাদা জমে সমস্যা হয়। পাশাপাশি সাপ সহ অন্য পোকামাকড়েরও বাড়বাড়ন্ত দেখা দেয়। এইসব কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষায় বন্ধ হচ্ছে জঙ্গল। তার আগে ভিড়ে ঠাসা ডুয়ার্সের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র লাটাগুড়ি। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইদের ছুটি এবং তারপরই রবিবার থাকায় অনেকে ডুয়ার্সে বেড়াতে এসেছেন। এদিন জঙ্গল সাফারির জন্য পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে।
ডুয়ার্সে (Dooars) বেড়াতে এসেছেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা, পেশায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মাঝে কয়েকদিন ছুটি থাকায় সপরিবারে ডুয়ার্সে বেড়াতে এসেছি।’ গরুমারার পাশাপাশি সামসিং বেড়িয়ে এসেছেন তাঁরা। কলকাতা থেকে এসেছেন দীপ চক্রবর্তী। তিনি জানান, ১৬ তারিখ থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে জঙ্গল ঘুরে দেখলেন তাঁরা। দীপ ও তাঁর বন্ধুরা এদিন গরুমারা নজরমিনারে যান। জঙ্গলে হাতি ও গন্ডার দেখে তাঁরা বেজায় খুশি।
লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানান, পর্যটকদের ভিড় রয়েছে ডুয়ার্সে। লাটাগুড়ির বিভিন্ন রিসর্টে বুকিংও বেশ ভালোই। আবার ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব দে জানান, আগে বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ থাকলে পর্যটকদের ভিড়ে কিছুটা ভাটা পড়ত। তবে গত কয়েক বছরে বর্ষায় ডুয়ার্সের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে নানাভাবে। সে কারণে বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনাও।