Goalpokhar Shootout | এনকাউন্টার নিয়ে অনেক প্রশ্ন, সংশয়

Goalpokhar Shootout | এনকাউন্টার নিয়ে অনেক প্রশ্ন, সংশয়

শিক্ষা
Spread the love


অরুণ ঝা, কিচকটোলা সীমান্ত (গোয়ালপোখর): কিচকটোলায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের এনকাউন্টার নিয়ে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিভিন্ন মহল (Goalpokhar Shootout)। পাশাপাশি এনকাউন্টার (Encounter) কি সত্যিই হয়েছিল, নাকি গুলি করে মারা হয়েছে সাজ্জাককে, এনিয়ে চর্চাও তুঙ্গে।

শনিবার ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কার্যত ছিল না বলে এলাকার সাধারণ মানুষ দাবি করেছেন। একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওই সময় একহাত দূরের বস্তুও সহজে নজরে পড়ছিল না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, সেক্ষেত্রে প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে সাজ্জাকের পা, পিঠ ও বুক লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি নিশানা ভেদ করল কী করে?

অনেকেই বলেছেন, ডিজির ফ্রি হ্যান্ড পেয়েই কি পুলিশ এনকাউন্টার তত্ত্ব খাড়া করছে? এই এনকাউন্টার কি এড়ানো যেত না? যদিও পুলিশের শীর্ষকর্তারা আত্মরক্ষার্থেই এনকাউন্টার করতে হয়েছে বলে যুক্তি খাড়া করেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে সাজ্জাক মারা যাওয়ার পরই নাকি ফেরার বাংলাদেশি দুষ্কৃতী আবদুল হুসেন ‘দূত’ মারফত আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে। পুলিশ ‘অভয়’ দিলেও শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত আবদুলের আত্মসমর্পণের কোনও খবর নেই। সাজ্জাকের ভবিতব্য দেখেই কি আবদুল আত্মসমর্পণে দ্বিধায় রয়েছে, এমন প্রশ্নও উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, আবদুল এখনও শ্রীপুর সীমান্ত এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে আছে। পাশাপাশি পুলিশ এদিনও আবদুলকে জালে তুলতে সমস্ত ‘লোকাল সোর্স’ এবং ডিজিটাল ট্র্যাকিং সক্রিয় করে রেখেছে।

সাহাপুরের এক ব্যবসায়ী এদিন বলেছেন, ‘ভোরে কুয়াশা এতটাই বেশি ছিল যে জরুরি কাজে বাইক নিয়ে বের হতে পারিনি।’ কিচকটোলা গ্রামের সকলেই জানিয়েছেন, ভোরের কুয়াশায় দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এখানেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি নিশ্চয়ই নিরাপদ দূরত্বে থেকে চালিয়েছে? সেতুর নীচ থেকে পালানোর সময় সাজ্জাক পুলিশের নজরে আসে এবং সে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন। পুলিশের একটি গুলি সাজ্জাকের পায়ে লেগেছিল। ফলে পালিয়ে বেশিদূর যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তারপরেও যদি সে পালানোর চেষ্টা করে থাকে তাহলে পিছন থেকে তাক করা পুলিশের গুলি সাজ্জাকের পিঠে লাগার কথা। সেক্ষেত্রে সাজ্জাকের বুকে গুলি লাগল কী করে? তাহলে কি সাজ্জাককে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছে? সর্বোপরি কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতার অভাব থাকায় প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে পুলিশের গুলি লক্ষ্যভেদ করল কী করে?

এনকাউন্টার কি জরুরি ছিল? প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের আইজি রাজেশ যাদবের প্রতিক্রিয়া, ‘দুষ্কৃতী পুলিশের ওপর আগে গুলি চালিয়েছে।’ আবদুল এখনও অধরা। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমের হুংকার, ‘প্রয়োজনে আবার এনকাউন্টার হবে’। সব মিলিয়ে সাজ্জাকের এনকাউন্টার নিয়ে অনেক কিছুই ভোরের কুয়াশার মতো অস্পষ্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *